নিজস্ব প্রতিনিধি: স্কুলে আগেও যেতেন না, এখনও যান না। তবে আগে হামেশাই বাড়ি ভর্তি লোক থাকত, এখন সেই ছবিটা উধাও। পারতপক্ষে ঘর থেকেও বার হচ্ছেন না তিনি। বাবা CBI’র হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে না বাড়িতে এসেছেন দলের কোনও শীর্ষ নেতা, না আত্মীয়স্বজনরা। কার্যত সবাই যেন এড়িয়েই চলছে তাঁদের। আর এসবের জেরেই ভেঙে পড়েছেন মেয়ে। সূত্রের খবর, ঘুমের ওষুধ খেয়ে নাকি আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। যদিও সেই দাবির সমর্থনে কোনও তথ্য মেলেনি। তবে পাড়াপ্রতিবেশীরা একযোগেই জানাচ্ছেন, বাবাকে তিহার জেলে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় হচ্ছে শুনে নাকি ভীষণই ভেঙে পড়েছেন। বাড়ি থেকে বার হওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মণ্ডল(Sukanya Mondol)।
আরও পড়ুন আউশগ্রামে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৪
গত বছর পুজোর মাস দেড়েক আগেই গরু পাচার মামলায় CBI’র হাতে গ্রেফতার হন বীরভূম(Birbhum) জেলা তৃণমূলের(TMC) সেই সময়কার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondol)। এখন তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই নিয়ে আদালতের নির্দেশও পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা। যদি কেষ্ট’র দিল্লি যাত্রা হয় তাহলে তাঁর ঠাঁই যে তিহার জেলে হতে চলেছে এনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর বাবার এই তিহার যাত্রার সম্ভাবনাই ধাক্কা দিয়েছে সুকন্যাকে। কার্যত রীতিমত ভেঙে পড়েছেন তিনি। নিজেকে কার্যত বাড়ির মধ্যেই বন্দী করে ফেলেছেন। বাড়িতে নিরাপত্তারক্ষীরা আছেন, এক পরিচারিকাও আছেন। মাঝেমধ্যে এক বান্ধবীও এসে থাকেন। কিন্তু এর বাইরে বাড়িতে সেভাবে কেউ আসেন না, কাউকে দেখাও যায় না। অন্তত প্রতিবেশীদের তেমনটাই দাবি। বাড়ির সামনে আগে যেমন জমাট একতা ভিড় লেগেই থাকত, এখন সেই ছবিটাই উধাও। সারাক্ষণ শুনশান কেষ্টভবন।