এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলার ভোটে কেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) পঞ্চায়েত ভোটে(Panchayat Election) পর্যবেক্ষক(Observer) হিসাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন(National Human Rights Commission) প্রতিনিধি দল পাঠানোয় এবার তা নিয় বড় প্রশ্ন তুলে দিল খোদ দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ওই ঘটনার জেরে সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) বিচারপতিদের প্রবল ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে। কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। আর সেখানেই তাঁদের গলা ধাক্কা খেতে হল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আবেদন শুধু যে খারিজই করে দিয়েছে তাই নয়, দুই বিচারপতি একই সঙ্গে স্পষ্ট ও কড়া বার্তা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন ১০ বছরে খরচ ১৬ হাজার কোটি, মডেল মমতার কন্যাশ্রী

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি জানিয়ে দেন, ‘নির্বাচন সংক্রান্ত ইস্যুতে মানবাধিকার কমিশন অতি সক্রিয় কেন? আপনারা তো নির্বাচন কমিশনেরও ওপরে উঠে যাচ্ছেন। আর যাই হোক, কোনওভাবেই তো আপনাদের সুপার ইলেকশন কমিশন অব ইন্ডিয়ায় রূপান্তরিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া যায় না। ভোট করানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তার জন্য রাজ্য এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মতো স্বশাসিত সংস্থা রয়েছে। তাহলে সেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কীভাবে ভোট সুপারভাইজ করতে পারে? তাছাড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সামনে অন্য অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে তারা হস্তক্ষেপ করতে সক্ষম। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা বেছে বেছে কয়েকটি বিষয়ে উদ্যোগী হয়। তাই তাদের আবেদন খারিজ করা হল।’

আরও পড়ুন সুপ্রিম রায়ে বাংলার ১৬ হাজার ৫০০ শিক্ষকের চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলেই মনে করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তাই তারা বাংলায় প্রতিনিধিদল পাঠায়। পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় কাজ করতেও শুরু করে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। রায় যায় মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে। তাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। বিবাদী করা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে(West Bengal State Election Commission)। এই মামলার শুনানিতে মানবাধিকার কমিশনের হয়ে আইনজীবী মণিন্দর সিং বলেন, ‘আমরা কারও এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করছি না। শুধু মানবাধিকার রক্ষা হচ্ছে কি না, সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যদি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে আমরা মনে করি, তাহলে কেন তদন্ত করতে পারব না?’

আরও পড়ুন ফৌজদারি মামলায় জড়িতের পাসপোর্ট পেতে বাধা নেই, রায় হাইকোর্টের

এরপরই পর্যবেক্ষণে পাল্টা প্রশ্ন করেন বিচারপতি নাগরত্ন, ‘ভোট তো মিটে গিয়েছে। এখন তদন্ত করতে চাইছেন কেন?’ জবাবে মণিন্দর সিং বলেন, ‘আমাদের কিছু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা আছে। তাই তদন্ত।’ যদিও মানবাধিকার কমিশনের এই বক্তব্য গ্রহণ করেনি শীর্ষ আদালত। যে পদ্ধতিতে কমিশন কাজ করেছে, তা আইনত বৈধ নয় বলেই মন্তব্য করেন বিচারপতি নাগরত্ন। দুই বিচারপতি সাফ বুঝিয়ে দেন, মানবাধিকার কমিশনের এ ধরনের পদক্ষেপ সংবিধানের পরিপন্থী। তাই কোনওভাবেই তাদের জাতীয় নির্বাচন কমিশন বা রাজ্য কমিশনের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া যায় না। তাই মামলা খারিজ করা হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সন্দেশখালি কাণ্ডের কিনারায় এখন শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীরই মূল ভরসা সিবিআইয়ের?

মালদায় নির্বাচনী প্রচারে খগেন মুর্মুকে গরু – ভেড়ার সঙ্গে তুলনা করলেন ফিরহাদ হাকিম

নাম বিভ্রাটের জেরে নিরাপরাধ গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে আদালতে এনে বাড়ি পৌঁছে দিল পুলিশ

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কোথাও পুলিশ লাগালো গাছ, কোথাও আবার ডিউটির ফাঁকে করলেন রক্তদান

তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে শান্তিপুরে ব্যাঙের বিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা

কৃষ্ণনগরের দর্জি তাক লাগিয়ে দিলেন ১৪৪ বর্গফুটের লুডো তৈরি করে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর