নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ৪টি পুরনিগমে নির্বাচন হতে চলেছে। এই ৪টি পুরনিগম হল বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি। প্রথম ৩টি পুরনিগমে রাজ্যের শাসক দলই যে ফের ক্ষমতা দখল করতে চলেছে তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায়। তবে এর ব্যতিক্রম হতে পারে শিলিগুড়ি। সেখানে একক ভাবে কোনও দলই ক্ষমতা দখলের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন পাবে না। আর এখানেই এক চাঞ্চল্যকর উঠে এসেছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপিকে ঠেকাতে কোনও ভাবেই তৃণমূলকে সমর্থক করবে না কংগ্রেস। বরঞ্চ তাঁরা মেয়র নির্বাচনের সময় ভোটাভুটি থেকে ওয়াকআউট করতে পারে। ঠিক যেমনটি ঘটেছে চণ্ডীগড়ে। সেখানেও কংগ্রেসের ৭জন কাউন্সিলর মেয়র নির্বাচনের সময় ভোটাভুটিতে অংশ না নিয়ে ওয়াকআউট করেন। আর তার জেরে সেখানে বিজেপি বোর্ড গড়তে সক্ষম হয়। কার্যত কংগ্রেসের কাউন্সিলররা সেখানে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। শিলিগুড়ির বুকে যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে ফের চণ্ডীগড় মডেল উঠে আসতে পারে কংগ্রেসের হাত ধরে।
মোদি জমানায় দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের বিধায়কেরা বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে রাজ্যের ক্ষমতা গেরুয়া শিবিরের হাতে তুলে দিচ্ছে। আবার রাজ্যের মানুষ কংগ্রেসকে ভোটে জেতালেও দলের বিধায়কদের ধরে রাখতে অক্ষম হচ্ছেন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। ক্ষমতার দখল নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেসের এই ভূমিকার কারনেই এখন সব থেকে বেশি লাভবান হচ্ছে বিজেপি। গোটা দেশে যখন বিজেপি তথা মোদি বিরোধী হাওয়া ক্রমশ তীব্র হচ্ছে তখনও কার্যত হাতগুটিয়ে বসে রয়েছে কংগ্রেস। আর চণ্ডীগড় তো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস কীভাবে বিজেপির হাত শক্ত করে চলেছে। তৃণমূলের তরফে কংগ্রেসের এই ভূমিকা নিয়ে আগেই ক্ষোভ জানানো হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও যে কংগ্রেসের ঘুম ভাঙেনি সেটা শিলিগুড়িতেই হয়তো এবার ফের দেখা যেতে পারে। তৃণমূল যাতে শিলিগুড়িতে বোর্ড গড়তে না পারে তার জন্য কংগ্রেস কাউন্সিলররা তৃণমূলের বিরোধীতা করার পাশাপাশি মেয়র নির্বাচনের সময় ওয়াকআউটও করতে পারেন বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে। এমনটাই সূত্রে জানা গিয়েছে।