নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: সাত-সকালে একজোড়া মৃতদেহ পড়ে রাস্তার ধারে। তাও আবার যুবক-যুবতীর দেহ। পাশেই পড়ে একটি মোটরবাইক। যা দেখে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মালদা জেলার ইংরেজবাজার শহরের বিমানবন্দর এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে দুই যুবক-যুবতীর দেহ দেখতে পেয়েই ইংরেজবাজার থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। তবে কি কারণে এই যুগলের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, নির্জন এই এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হতে পারে আবার মৃতের পরিবারের দাবি খুন করা হয়েছে তাঁদের। যদিও এলাকাবাসীর অনুমান, যুগলে আত্মঘাতী হয়েছেন। সবমিলিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রনি দাস (২২), তাঁর বাড়ি ইংরেজবাজার এলাকার বাগবাড়িতে। সে আইটিআই কলেজের ছাত্র ছিল। অপরদিকে মৃত যুবতীর নাম স্বস্তিকা রায় (১৯), বাড়ি ইংরেজবাজারের তেলিপুকুর এলাকায়। সে মালদা কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্রী। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে মৃত যুবকের কাকা জয়রাম মণ্ডল দাবি করেছেন, কেউ বা কারা দুজনকে খুন করেছে। ত্রিকোণ প্রেমের সম্ভাবনা তিনি উড়িয়ে দেননি। অপরদিকে স্বস্তিকার বাবা বাপ্পা রায় জানিয়েছেন, গতকাল রাতে কাউকে কিছু না বলেই বেরিয়ে যায় মেয়ে, রাতে বাড়ি না ফেরার আমরা আশেপাশে খোঁজ শুরু করি। কিন্তু আজ সকালেই জানতে পারি এই ঘটনা। কী কারণে এমন হল তিনি বুঝতে পারছেন না। এমনকি ওই যুবককেও তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ চেনেন না। তিনিও খুনের অভিযোগ করেছেন। মালদা জেলা পুলিশের ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) প্রশান্ত দেবনাথ জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে, আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হতে পারে দুজনের। তবে সবদিক খতিয়ে দেখা হবে। দুননের মোবাইল পরীক্ষা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।