নিজস্ব প্রতিনিধি: বাতিল হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে এ বছর সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত এ বারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল প্রধান বিচারপতির। কিন্তু সমাবর্তন বাতিল হয়ে যাওয়ায় তা আর হচ্ছে না। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা পূর্বপল্লির মাঠে করার দাবিতে আন্দোলন চলছে বিশ্বভারতীতে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাস ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। ‘শান্তিনিকেতন পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি’র সদস্যরাও বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। আর এই সবকিছুর মাঝে আগামী সমাবর্তন বাতিল করা হচ্ছে বলে জানাল কর্তৃপক্ষ। সবমিলিয়ে পৌষমেলার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে জটের মধ্যে পড়ল।
মঙ্গলবারই ছাত্র-বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্যের গাড়ির সামনে শুয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের একাংশ। মঙ্গলবারের পর বুধবারও উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। একাধিক দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছে পড়ুয়াদের একাংশ। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বিশ্বভারতীর (VISVA BHARATI) অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সোমনাথ সৌ ভর্তি হতে পারবেন না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তার আগে এই পড়ুয়াকে ভর্তি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই পড়ুয়া দাবি করেছিলেন, আদালতের (HC) নির্দেশ সত্ত্বেও ভর্তি না নেওয়া মানে আদালত অবমাননা। আর এই অভিযোগ তুলে আবারও আদালতের দ্বারস্থ হবেন তারা।