নিজস্ব প্রতিনিধি: একদিকে রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার স্বপ্নের সস্তার উড়ান সংস্থা আকাশ-এর জন্ম অন্যদিকে দ্বিতীয়বার জেট এয়ারওয়েজের পুনরুজ্জীবন। সব মিলিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে বিমান শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মী-আধিকারিকরা। মূলত দুই নতুন বিমানসংস্থার হাত ধরেই আগামী অর্থবর্ষে বিপুল কর্মসংস্থানের আশা করছেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই দুই সংস্থার আগমণে বিমান চালক এবং বিমান সেবক ও সেবিকাদের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
করোনার ধাক্কায় বেসামাল বিমান সংস্থাগুলি। ধাক্কা কাটিয়ে মাস দুয়েক হল আভ্যন্তরীণ বিমানে ১০০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। আবার বিগত কয়েক বছরে বিমানের জ্বালানি সমেত সংস্থা পরিচালন খাতে খরচ বেড়েছে বহুলাংশে। এই সময়ের মধ্যে ছোট-বড় একাধিক বিমান সংস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। কিন্তু এরমধ্যেই কয়েকটি খবর নতুন করে আশার আলো জ্বেলেছে ভারতীয় বিমান পরিবহণ শিল্পে। এরমধ্যে অন্যতম রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার স্বপ্নের সস্তার উড়ান সংস্থা আকাশ-এর জন্ম এবং জেট এয়ারওয়েজের পুনরুজ্জীবন। আবার এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ শেয়ার টাটা গোষ্ঠীর হাতে যাওয়াটাও ভালো দিক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার স্বপ্নের সস্তার উড়ান সংস্থা ‘আকাশ’ ইতিমধ্যেই উড়ানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। একই প্রস্তুতি চলছে জেট এয়ারওয়েজের। ফলে দুটি নতুন বিমান সংস্থার জন্য প্রয়োজন প্রচুর অভিজ্ঞ কর্মী, পাইলট ও বিমান সেবিকার। সূত্রের খবর, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগও শুরু করেছে দুটি সংস্থা। জানা যাচ্ছে, দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী পেতে দুটি সংস্থাই হাত বাড়িয়েছে ইন্ডিগো এবং স্পাইসজেটের মতো প্রতিষ্ঠিত প্রতিদ্বন্দ্বী উড়ান সংস্থার দিকে। সেখান থেকেই বিমান চালক থেকে শুরু করে পরিচালন কর্মীদের অগ্রাধিকার দিতে চাইছে দুটি নতুন সংস্থা। যদিও আকাশ এবং জেট এয়ারওয়েজ এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি এখনও পর্যন্ত।
সেন্টার ফর এশিয়া প্যাসিভিক অ্যাভিয়েশনের চিফ এগজিকিউটিভ কপিল কউল জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ থেকে উড়ান শুরু করতে পারে আকাশ। পাশাপাশি জেট এয়ারওয়েজও তাঁদের দ্বিতীয় দফার উড়ান ওই অর্থবর্ষেরই জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক থেকে শুরু করবে। যা দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার নতুন পথ খুলে দিতে চলেছে। তার পরের অর্থবর্ষের মধ্যেই নতুন আঙ্গিকে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান শুরু হবে। এই অনুমান যদি সত্যি হয় তাহলে বিমান চালক থেকে শুরু করে বিমান সেবক ও সেবিকা, গ্রাউন্ড স্টাফ থেকে শুরু করে সমস্ত ধরনের কর্মী নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে সংস্থাগুলিকে। এক হিসেব বলছে, রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার সংস্থা আকাশ ইতিমধ্যেই ৭২টি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের বরাত দিয়েছে। ফলে ওই বিমানগুলির পরিচালনের জন্য কমপক্ষে ২৮৮ জন কেবিন ক্রু-র প্রয়োজন।