নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতীয় রেল গর্বের। ব্রিটিশদের হাত ধরে আসা রেল পরিষেবা স্বাধীন ভারতে অন্যতম যাতায়াতের ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যম। দেশের কয়েক কোটি মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম এই রেল। লোকাল, এক্সপ্রেস থেকে হালফিলের বুলেট ও বন্দে ভারত। দেশের বয়স যাতে বাড়ছে ততই উন্নত হচ্ছে পরিষেবা, আসছে নতুন চমক। কিন্তু দুর্ঘটনা ট্রেনের অন্যতম চিন্তার কারণ, প্রযুক্তি এলেও দুর্ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না। আগের তুলনায় ট্রেনে প্রযুক্তির ব্যবহার করে চেষ্টা করা হচ্ছে দুর্ঘটনা এড়াতে। যার জন্য মানধাতার আমলের আইসিএফ কোচ তুলে দিয়ে ধীরে ধীরে আনা হচ্ছে এইচএলভি কোচ।
তবে ট্রেন দুর্ঘটনা কমাতে উদ্যোগী সরকার। তাই প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে আরও একধাপ এগোল কেন্দ্র। গত মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়ে দেন ট্রেনের দুর্ঘটনা এড়াতে এবার আনা হচ্ছে ‘কবচ’ প্রযুক্তি। প্রাথমিক ভাবে ২০০০ কিলোমিটার রেল পথে লাগু হবে এই প্রযুক্তি। ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে সময়ের সঙ্গে। কিন্তু কী এই রক্ষাকবচ প্রযুক্তি? প্রশ্ন উঠছে আমজনতার মনে। পুরো বিষয়টি খোলশা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ। তিনি জানিয়েছেন, এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা মুখোমুখি দুটি ট্রেন এলেও বড়সড় দুর্ঘটনা হবে না। এছাড়াও ট্রেনে অন্যান্য বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে। প্রতি ১০,০০০ বছরে একটা ঘটনা ঘটতে পারে এতটাই মজবুত প্রযুক্তি।’ কবচ-এর বৈজ্ঞানিক নাম Train Collision Avoidance System (TCAS), or Automatic Train Protection (ATP) system। কবচ লাগুর পিছনে মূল উদ্দেশ্যে রেলে কোনওরকম দুর্ঘটনা যাতে না হয়।
জানা গিয়েছে, কবচ-এর বিশেষত্ব এটাই, যদি কোনও ট্রেনে লাগানো থাকে তাহলে একই লাইনে থাকা অন্য ট্রেনের সেনশর ধরা পড়বে। আর এতে চলন্ত ট্রেন দুটি থেমে যাবে যে কোনও জায়গায়। শুধু এই নয়, ইঞ্জিনে বা ট্রেনের বগিতে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি থাকলে বারবার লোকোপাইলট অর্থাৎ ট্রেন চালককে সিগন্যাল দেবে। এমনকি দুর্ঘটনার মাত্রা বুঝে আপনাহতেই বন্ধ হয়ে যাবে ট্রেনের ইঞ্জিন। জিপিএস ও রেডিও টেকনোলজির মাধ্যমে ট্রেনে কাজ করে ‘কবচ’ প্রযুক্তি। SIL4- স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এই প্রযুক্তি ভারতে নতুন। যা কেন্দ্রের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের আওতা ধীন। ভারতে নতুন এই প্রযুক্তি যা দ্রুত প্রয়োগ করা হবে ট্রেনে। জার্মানি, ব্রাজিলে লাগু রয়েছে এই কবচ প্রযুক্তি।