নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: টাকার অভাবে অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে পারেননি। অনেকে আবার পরিবারের চাপে মাঝপথে বাধ্য হয়েই লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে চাকরিতে যোগ দেন। তাও মোটা টাকার বেতনের চাকরি নয়। লোকের বাড়ি-বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়া। আর খাবার ডেলিভারির পরিবর্তে তারা সামান্য কিছুট টিপস পায়।
এই চিত্রের পাশাপাশি অন্য চিত্রও রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার পৌঁছে দিতে না পারলে শুনতে হয়েছে গালমন্দ। যে সব ডেলিভারি বয়ের ছেলে বা মেয়ে রয়েছে, তাদের পড়াশোনার জন্য জোম্যাটো সিইও দিপীন্দর গয়্যাল প্রায় সাতশো কোটি টাকা দান করতে চলেছেন। দানের পরিমাণ প্রায় সাতশো কোটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন সংস্থার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। কাদের কত টাকা করে দেওয়া হবে, সেটাও জানিয়ে দিয়েছে দিপীন্দর গয়্যাল।
প্রত্যেক ডেলিভারি বয়কে প্রতি বছর দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। আর যে সব কর্মী ১০ বছর বা ১০ বছরের বেশি ডেলিভারি বয়ের কাজ করছেন, তাঁরা পাবেন প্রতি সন্তানপিছু এককালীন এক লক্ষ টাকা। পাশাপাশি যে সব ডেলিভারি বয়ের ছেলে বা মেয়েরা দ্বাদশ শ্রেণি বা স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করবেন তাদের জন্য থাকছে পুরষ্কার।
এখানেই শেষ নয়, কর্মরত অবস্থায় কোনও ডেলিভারি বয় দুর্ঘটনার পড়লে বা তাঁর মৃত্যু হলে তাঁর সন্তান এবং পরিবারের খরচ-খরচা বহন করবে সংস্থা। এ ক্ষেত্রে ওই ডেলিভারি বয় কতদিন কাজ করেছেন তা দেখা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।