এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সুকান্ত-শুভেন্দুকে ধাক্কা দিয়ে ধূপগুড়িতে জয় অভিষেকের

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: ধূপগুড়িতে ফুটল ঘাস, বন্ধ হল পদ্ম চাষ। আর সেই পরিবর্তনটা ঘটালেন একজন। মাত্র ১ দিন তিনি গেলেন সভা করতে। করলেনও মাত্র ১টি সভা। আর সেই সভা থেকেই করলেন তিনি মাত্র ১টি ঘোষণা। আর তাতেই বাজিমাত। অন্যদিকে, বিপক্ষ শিবিরের রাজ্য সভাপতি মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন। সেই সঙ্গে সেখানে প্রচারে নেমেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও। প্রচারে নেমেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও। ৩জনই কার্যত বড়মুখে দাবি করেছিলেন জয় আসবে ১০ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে। বাস্তব বলছে, ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে(Dhupguri By Election 2023) তৃণমূল(TMC) জিতেছে ৪ হাজার ৪২৬ ভোটের ব্যবধানে। যার ১টি মাত্র ঘোষণার জেরে ধূপগুড়িতে খেলা ঘুরে গেল তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। আর যারা হারের মুখ দেখলেন তাঁরা হলেন সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar), শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) ও অতি অবশ্যই নিশীথ প্রামাণিক(Nishith Pramanik)। 

উত্তরবঙ্গের রাজবংশী ভোট যে উনিশের লোকসভা ভোটের মতো পুরোপুরি বিজেপির পক্ষে নেই সেটা একুশের বিধানসভা ভোটেই বোঝা গিয়েছিল। কেননা উনিশের লোকসভা ভোটে বিজেপি(BJP) রাজবংশী অধ্যুষিত ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে লিড পেয়েছিল। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনেই সেই কেন্দ্রেই বিজেপি জিতেছিল মাত্র ৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে। অর্থাৎ মাত্র ২ বছরেই বিজেপি সেখানে ১০ হাজার ভোট হারিয়েছিল। অভিষেকও তাই ধূপগুড়ির দলীয় নেতৃত্বকে বলে দিয়েছিলেন বেশি করে রাজবংশীদের কাছে গিয়ে রাজ্যের উন্নয়ন এবং রাজ্য সরকারের চালু করা আর্থসামাজিক প্রকল্পগুলিকে তাঁদের মাঝে তুলে ধরতে। একই সঙ্গে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের মানোন্নয়ন এবং ধূপগুড়িকে মহকুমা হিসাবে ঘোষণা করার দাবিকেও গুরুত্ব দেন তিনি। নিজের সভাতে সেই মতো ঘোষণাও করেন। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, একদিকে বিজেপির ধর্মীয় প্রচার, বিদ্বেষমূলক প্রচার, বিভেদকামী প্রচার এবং অন্যদিকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি, মহকুমার প্রতিশ্রুতি, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ধূপগুড়ির মানুষকে তৃণমূলমুখী করে তুলেছে।

ধূপগুড়িকে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই মহকুমা হিসাবে ঘোষণা করার দাবি ছিল। এবারের উপনির্বাচনে সেটাই মুখ্য প্রচারের ইস্যু হয়ে উঠেছিল, যাকে বিন্দুমাত্র আমল দেয়নি বিজেপি। তাঁদের লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র তৃণমূল আর বাংলার বদনাম করা। অভিষেক কিন্তু গুরুত্ব দিয়েছিলেন উন্নয়নের দিকে। একটি নতুন মহকুমা মাথা তুএলে দাঁড়ালে রাতারাতি এলাকার জমি ও বাড়ির দর কত বেড়ে যায় সেটা কে না জানে! অভিষেকও জানেন, ধূপগুড়িবাসীও জানেন। সাধারন একটি ব্লক সদর যা গুরুত্ব পায় আর একটি মহকুমা সদর যে গুরুত্ব পায় পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে সেটা অভিষেক বিলক্ষণ জানেন। তাই নিজের সভা থেকে মানুষের আবেগকে মর্যাদা দিয়ে, তাঁদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার কথা ঘোষণা করেন। সেটাই কার্যত এই উপনির্বাচনে তাঁর ‘মাস্টারস্ট্রোক’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল যাকে বিজেপি তাঁদের বিদ্বেষ, বিভেদ, ধর্ম দিয়ে ছাপিয়ে যেতে পারল না। তাঁদের হারতে হল অভিষেকের কাছেই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ধামাখালিতে অস্থায়ী শিবির খুললেন সিবিআই এর আধিকারিকরা

লক্ষ্মী ভান্ডারকে পাথেয় করে নববারাকপুরে ঘরে ঘরে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য

প্রতিহিংসা !পূর্ব মেদিনীপুরের দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই হানা

শেষ ইচ্ছেপূরণ, ভোট দিয়েই মৃত্যু হাওড়ার বৃদ্ধার

সিএএতে আবেদন করলে ভোটের পরে জেলে ভরে দেবে, দাবি মমতার

দুর্গাপুরের কারখানায় পাঁচিল ভেঙে মৃত ২ শ্রমিক, আহত আরও ২

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর