এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ধান কেনার পরিমাণ বাড়ছে রাজ্যে, ১ মাস অন্তর কাজের মূল্যায়ন PO-দের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: খোলাবাজারের থেকে দামের ফারাক খুব বেশি নয়। তা সত্ত্বেও সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার(Paddy Procurement) পরিমাণ বাড়ছে। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টন ধান কিনেছে রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। নভেম্বরে ধান কেনার গতি মন্থর ছিল। ডিসেম্বর পড়তেই তা বাড়তে শুরু করেছে। ধানের ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্য এবার কুইন্টাল প্রতি ২১৮৩ টাকা। স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে ধান বিক্রি করলে কুইন্টালে আরও ২০ টাকা হারে ‘বোনাস’ পাওয়া যায়। সেখানে খোলাবাজারে এখনও পর্যন্ত ১৯৫০ টাকার আশপাশে ধান বিক্রি হচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে এই ধান কেনা হয়। খোলাবাজারের থেকে ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্যের দাম অনেকটা বেশি হলে সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার পরিমাণ বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক অতীতে কুইন্টাল প্রতি দামের পার্থক্য ৩০০-৪০০ টাকা বা তার থেকেও বেশি হয়েছে। এবার এখনও পর্যন্ত দামের ফারাক ততটা নয়। তা সত্ত্বেও ধান কেনার পরিমাণ সন্তোষজনক।    

চলতি ডিসেম্বর মাসে ১২ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে রাজ্য খাদ্য দফতরের(Food Department)। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে এই লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছনো যাবে বলে আশা করছে খাদ্য দফতর। নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ লক্ষ টন। তার থেকে অনেক কম পরিমাণ ধান কেনা হয়েছে ওই মাসে। তবে নভেম্বরে যেহেতু নতুন ধান খুব কম ওঠে, তাই সরকারি উদ্যোগে প্রতি বছরই ধান কম কেনা হয়। সব থেকে বেশি ধান কেনা হয় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে। জানুয়ারিতে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ২৪ লক্ষ টন।

ধান কেনায় স্বচ্ছতা আনতে চাষিদের আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই সহ একগুচ্ছ নতুন ব্যবস্থা নিয়েছে খাদ্য দফতর। এখনও পর্যন্ত বড় কোনও অভিযোগ আসেনি তাঁদের কাছে। তবে ধান কেনার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে এবার অভিনব ব্যবস্থা নিল খাদ্য দফতর। এবার থেকে ধান কেনার সঙ্গে জড়িত Purchase Officer বা PO-দের এক জায়গায় বসে বছরভর ধান কিনতে পারবেন না। একমাস অন্তর তাঁদের কাজের মূল্যায়ন করা হবে। তার ভিত্তিতে পরিবর্তন করা হবে তাঁদের কর্মস্থল। মূলত তাঁদের কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই ব্যবস্থা। এছাড়া ধানক্রয় কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যুক্ত রাইস মিলেরও পরিবর্তন করা হবে সময়মতো।   

এর আগে দেখা গিয়েছে, Purchase Officer’রা এক জায়গায় বছরভর থেকে যান। কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগও সামনে আসে। এক জায়গায় থাকার ফলে তাঁদের কাজে যাতে কোনও ত্রুটি ধরা না পড়ে, তার জন্য ‘জায়গা বদল’ করা হবে। এবার থেকে Purchase Officer-দের কাজের জায়গা এক থেকে দেড় মাস অন্তর পাল্টে দেবে রাজ্যের খাদ্য দফতর। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের যুক্তি, আগে ভোটের সময় জানা যেত প্রিসাইডিং অফিসার কিংবা পোলিং অফিসররা কোন বুথে দায়িত্ব পেতে চলেছেন। কিন্তু এখন নির্বাচন কমিশন আগাম জানায় না—কোন প্রিসাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসার কোন বুথে দায়িত্ব পাচ্ছেন।

এইরকমভাবে Purchase Officer-দের অভিজ্ঞতা বিভিন্ন জায়গায় কাজে লাগানোর একটি পরিকল্পনা নিয়েছে খাদ্য দফতর। ফলে Purchase Officer-দের কাজ যে এবার আতশ কাঁচের নীচে, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ধান কেনার কাজে যাতে কোনওরকমভাবেই আর্থিক দুনীতি বা হিসেবে গরমিল যাতে না হয়, তার জন্যই এই নয়া ব্যবস্থা। স্বচ্ছতার দৃষ্টিভঙ্গিতেই খাদ্য দফতরের অপর নয়া পদক্ষেপ রাইস মিল পরিবর্তন। সাধারণত রাইস মিলের সঙ্গে ধান ক্রয়কেন্দ্রের সংযোগ থাকে। কিন্তু এই সংযোগ এবার আর সারা বছর থাকবে না। মাস ভিত্তিক কাজের মূল্যায়ন করে ধান ক্রয়কেন্দ্রের সঙ্গে একই রাইস মিলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। ধান ক্রয়কেন্দ্র এবং রাইস মিলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন হবে নতুনভাবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সল্টলেকের বিভিন্ন প্রবেশ পথে শুরু কেন্দ্রীয় বাহিনীর নাকা তল্লাশি

ধামাখালিতে অস্থায়ী শিবির খুললেন সিবিআই এর আধিকারিকরা

লক্ষ্মী ভান্ডারকে পাথেয় করে নববারাকপুরে ঘরে ঘরে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য

প্রতিহিংসা !পূর্ব মেদিনীপুরের দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই হানা

শেষ ইচ্ছেপূরণ, ভোট দিয়েই মৃত্যু হাওড়ার বৃদ্ধার

সিএএতে আবেদন করলে ভোটের পরে জেলে ভরে দেবে, দাবি মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর