নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: ‘গোঁফের আমি, গোঁফের তুমি, গোঁফ দিয়ে যায় চেনা।’ নিজেকে আর পাঁচজনের থেকে আলাদা হিসেবে পরিচিত করাতে সাধ করে গোঁফ রেখেছিলেন মধ্যপ্রদেশ পুলিশের কনস্টেবল রাকেশ রানা। সুন্দর করে লম্বা গোঁফের এক ডিজাইন শোভাও পাচ্ছিল তাঁর মুখে। অনেকটাই বায়ুসেনার আধিকারিক অভিনন্দন বর্তমানের মতো দেখতে। কিন্তু সাধের সেই গোঁফ যে তাঁর জীবনের চরম সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে, তা ভাবতেও পারেননি বিকাশ। সাধের গোঁফের জন্য কনস্টেবলের চাকরি থেকে শেষ পর্যন্ত সাসপেন্ড হতে হয়েছে তাঁকে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কনস্টেবল বিকাশ রানা ভোপালের অতিরিক্ত মহানির্দেশকের (এডিজি) গাড়ির চালক ছিলেন। চাকরির শর্ত অনুযায়ী, পুলিশের কোনও কর্মচারি লম্বা চুল ও গোঁফ রাখতে পারেন না। বিকাশের মাথায় লম্বা চুল ও মুখে সুন্দর করে রাখা ইয়া লম্বা গোঁফ কাটানোর জন্য পুলিশের সহায়ক মহানির্দেশক একাধিকবার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশে কর্ণপাতই করেননি বিকাশ।
কেননা, লম্বা চুল ও সুন্দর গোঁফের জন্য তাঁকে কম কসরৎ করতে হয়নি। কেটে ফেলার জন্য তো তিনি আর ওই কসরৎ করেননি। তাই উপরওয়ালাদের নির্দেশকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘সাসপেন্ড হতে রাজি, কিন্তু গোঁফ ছাঁটবেন না।’ বিকাশের এমন বেয়াদপি মানতে পারেননি পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। গত ৭ জানুয়ারি চাকরি থেকে তাঁকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন এআজি প্রশান্ত শর্মা।
অভিনন্দন বর্তমানের মতো সাধের গোঁফ রেখে মহার্ঘ চাকরি হারানোর পরে অবশ্য এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি বিকাশ। যদিও তাঁর আজব ডিজাইনের গোঁফ এবং সেই সাধের গোঁফের জন্য চাকরি হারানো এখনও ভোপালের অলিগলিতে জোর চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।