নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পয়গম্বর (Prophet) হযরত মহম্মদকে নিয়ে কটূক্তি করা বিজেপি নেত্রী (Bjp Leader) নূপূর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে এক কলেজ ছাত্রের ফেসবুক পোস্ট (Facebook Post) ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল নড়াইল (Narail)। অভিযুক্ত ছাত্রকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় একদল পড়ুয়া ও কট্টর মৌলবাদী। পুলিশের সঙ্গেও দফায়-দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় একাধিক মোটরবাইকে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। সংঘর্ষের ঘটনায় এক পুলিশ কর্মী সহ মোট ১০ জন আহত হয়েছে। আহত পুলিশ কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া ছাত্র ও কলেজ অধ্যক্ষকে আটক করেছে পুলিশ।
নড়াইল থানার (Narail Police Station) ওসি মোহাম্মদ শওকত কবীর (Shawkat Kabir) রবিবার সাংবাদিকদের জানান, গত শুক্রবার হযরত মহম্মদকে নিয়ে কটুক্তি করা বিজেপি নেত্রী নূপূর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্ট করে নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের (Mirzapur United College) একাদশ শ্রেণির এক হিন্দু ছাত্র। শনিবার কলেজে গেলে ওই ছাত্রকে বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট মুছে ফেলার অনুরোধ জানায় বেশ কয়েকজন ছাত্র। কিন্তু হিন্দু ছাত্রটি তাতে রাজি না হলে অধ্যক্ষের কাছে এ বিষয়ে নালিশ জানায় ক্ষুব্ধ ছাত্ররা। গুরুত্ব বুঝতে পেরে ওই হিন্দু ছাত্রকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠিয়ে পুলিশে খবর দেন অধ্যক্ষ (Principle)।
কিন্তু ততক্ষণে কলেজ ও এলাকায় রটে যায় পয়গম্বরকে (Prophet) নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট করা হিন্দু ছাত্রকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন কলেজ অধ্যক্ষ (Principle)। আর তার জেরেই কলেজের সামনে জড়ো হয় কয়েকশো উগ্র মুসলিম। হিন্দু ছাত্রটিকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশের উপরে চড়াও হয় ক্ষুব্ধ জনতা। আর তাতেই বেঁধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। উত্তেজিত জনতাকে থামাতে লাঠিচার্জের (Lathicharge) পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস (Tear Gas) চালাতে হয় পুলিশকে। শেষ পর্যন্ত নড়াইলের জেলাশাসক (DC) ও পুলিশ সুপার (SP) ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন।