নিজস্ব প্রতিনিধি, বেনাপোল: কলকাতা থেকে করোনামুক্ত সনদ নিয়ে দেশে ফেরা এক যাত্রীর শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আর ওই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ফেরা ওই যাত্রীর করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা, তা জানতে আক্রান্তের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হয়েছে। আপাতত আক্রান্তকে যশোর হাসপাতালের করোনা রেড জোনে ভর্তি করা হয়েছে। যাতে তিনি পালিয়ে যেতে না পারেন, তার জন্য পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যশোর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার হরিদাসপুর (পেট্রাপোল) স্থল বন্দর সীমান্ত দিয়ে বেনাপোলে আসেন খুলনা ডুমুরিয়া জেলার তালতলা গ্রামের বাসিন্দা তন্ময় মণ্ডল। মাস তিনেক আগে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন তিনি। অভিবাসন দফতরের কাছে করোনামুক্তের শংসাপত্রও জমা দেন। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষার সময়েই পরীক্ষার পরে তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। আর তারপরেই তোলপাড় পড়ে যায়। পুলিশ পাহারায় মঙ্গলবার রাত নয়টা ২৮ মিনিটে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তন্ময়কে।
যশোর হাসপাতালের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারত ফেরত তন্ময় মন্ডলের শরীরে করোনার অতি সংক্রামক প্রজাতি ‘ওমিক্রন’ রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়। তাই তাঁর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হয়েছে।’ আর যাঁকে ঘিরে কার্যত হুলুস্থুলু পড়ে গিয়েছে সেই তন্ময় মণ্ডল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘প্রায় তিন মাস আগে চিকিৎসা ও অন্যান্য বেশ কিছু কাজের জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। ফেরার জন্য করোনা পরীক্ষা করি। গত সোমবার ওই পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। কিন্তু সীমান্ত পেরনোর সময়ে আচমকাই শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যায়। তাপমাত্রা বেশি থাকায় আবার করোনা পরীক্ষা করাতে হয়। পরীক্ষার পর জানতে পারি আমি করোনা পজিটিভ। তবে আমার শরীরে কোনও ধরনের উপসর্গ নেই।’