আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মন্দির-মণ্ডপে হামলার জন্য হাসিনা সরকারকে কাঠগড়ায় তুলল বিএনপি। দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নানা সমস্যায় জর্জরিত। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমশ বাড়ছে। চূড়ান্ত নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন সাধারণ মানুষ। আর সেই সব জ্বলন্ত সমস্যা থেকে দেশবাসীর নজর ঘোরাতে সরকার মন্দির, মণ্ডপে হামলা চালাতে দুষ্কৃতী নামিয়েছে।
রবিবার নয়া পল্টনে সদর দফতরে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দেশ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম উর্ধ্বমুখী। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাধারণ মানুষ। নিরাপদে নেই মহিলারা। দেশে বাড়ছে বেকার। সেই সব সমস্যা থেকে দেশবাসীর নজর ঘোরাতেই সরকার মন্দির-মণ্ডপে হামলা চালাতে ইন্ধন জুগিয়েছে। নামিয়েছে দুষ্কৃতী। শুধু তাই নয়, সরকার বলছে এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি জড়িত। কিন্তু আমাদের দলের কোনও কর্মী এই নিন্দনীয় ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। মহাসচিবের সংযোজন ‘ইতিহাস বলছে, হাসিনার দল যখন ক্ষমতায় বসেছে তখন বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারেই হামলার টার্গেট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। বিশেষ করে হিন্দু।’
বিএনপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আলমগীরের জবাব, ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িয়ে দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েক লক্ষ লোক জোগাড় করেছিল হাসিনা সরকার এবং তাঁর দলবল। এই প্রসঙ্গে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ নাম করে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়ো জাল। তার কথায়, ‘ওটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সুপার এডিটেড। ’
এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দল একাধিকবার সরব হলেও সরকার সেই সব অভিযোগ খারিজ করে দেয়। কিন্তু অভিযোগ যে খাঁটি সেটা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।