নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পুলিশের সামনে নড়াইলের মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজের (Mirzapur Degree College) অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের (Swapan Kumar Biswas) গলায় জুতোর মালার পরানো ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠায় ঘুম ভাঙল প্রশাসনের। ঘটনার দশ দিনের মাথায় সোমবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। আঞ্চলিক পরিচালকের কাছ থেকে এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। শিক্ষকের গলায় জুতোর মালা পরানোর ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক শাহেদুল কবির চৌধুরী (Shahedul Kabir choudhury)। এদিন সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ঘটনায় ওই শিক্ষকের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেলে তার চাকরির বিধি-বিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচার করা যেত। কিন্তু তাকে জুতা পরানোর ঘটনা দুঃখজনক।’
গত ১৭ জুন নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের (Mirzapur Degree College) একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় (Rahul Deb Roy) বিজেপি নেত্রী নূপূর শর্মাকে (Nupur Sharma) সমর্থন করে ফেসবুকে (Facebook) এক পোস্ট করে। পরের দিন ১৮ জুন ওই পোস্ট ঘিরে বেনজির ঘটনা ঘটে কলেজ চত্বরে। কলেজের কিছু পড়ুয়া ও স্থানীয় মাদ্রাসার কিছু ছাত্র কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস (Swapan Kumar Biswas) ওই হিন্দু ছাত্রকে প্রশ্রয় দিয়েছেন বলে তুলকালাম কাণ্ড বাঁধায়। পুলিশের সামনেই অধ্যক্ষ ও ছাত্রের গলায় জুতোর মালা পরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
ঘটনার ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দৌলতে গোটা বিশ্ব পুলিশের সামনে অধ্যক্ষ স্বপন বিশ্বাসকে জুতোর মালা পরানোর ঘটনা দেখলেও নড়াইলের পুলিশ সুপার (Police Super) প্রবীর রায় (Prabir Roy) ও জেলা প্রশাসক (DC) হাবিবুর রহমান (Habibur Rahaman) সাফাই দিয়েছেন, তাদের সামনে জুতোর মালা পরানোর ঘটনা ঘটেনি। সোমবার শাহবাগ চত্বরে স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতোর মালা পরানোর প্রতিবাদে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশ থেকে পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের বিচার দাবি করা হয়।