নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ‘প্রহসনের ভোটে’ জিতে টানা চতুর্থবার শাসন ক্ষমতায় ফিরল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। রবিবার গভীর রাতে ২৯৯টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৮২টি আসনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। শাসকদল আওয়ামী লীগ একাই জয়ী হয়েছে ২১৯ আসনে। নির্দলরা জয়ী হয়েছেন ৫১ আসনে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মহম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি জিতেছে ১১টি আসনে। এছাড়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি প্রাক্তন সেনা আধিকারিক সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীরপ্রতীক) জয়ী হয়েছেন।
নওগাঁ-২ আসনের নির্দল প্রার্থী আমিনুল ইসলামের মৃত্যুতে ওই আসনের ভোট স্থগিত রেখে বাকি ২৯৯টি সংসদীয় আসনে রবিবার ভোট নেওয়া হয়। ভোটের ময়দানে ছিলেন ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের আর কোনও প্রধান রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নেয়নি। উল্টে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। আর তাতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। কত শতাংশ ভোট পড়েছে তা স্পষ্ট ভাবে জানাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। ভোট শেষে এ বিষয়ে ধোঁয়াশাপূর্ণ মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। তবে কমও হতে পারে, বেশিও হতে পারে।
বিকেল চারটের সময় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সগেই ভোটগণনা শুরু হয়। রাত আটটার পরেই বিভিন্ন কেন্দ্রের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে শুরু করে নির্বাচন কমিশন। প্রহসনের ভোটে শতাধিক কেন্দ্রে শাসকদল আওয়ামী লীগের সরকারি প্রার্থীকে জোর টক্কর দিয়েছে নির্দল হয়ে দাঁড়ানো বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতারা। আর তার ফলেই বিমান পরিবহণ মন্ত্রী মাহবুব আলী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরা হেরে গিয়েছেন। এমনকি হাসানুল হক ইনুর মতো দেশের পরিচিত বামপন্থী নেতাও হেরেছেন। বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী ওরফে বাঘা সিদ্দিকীও টাঙাইলের সখিপুর আসন থেকে হেরে গিয়েছেন।