নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: আগামী রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর ওই ‘প্রহসনের ভোট’ আটকাতে ৪৮ ঘন্টার হরতাল ডাকল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বৃহস্পতিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দলের পক্ষ থেকে আগামিকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ভোট বানচালের চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না।
আগামী রবিবার দেশের ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ভোট। যদিও ওই ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রশ্ন উঠেছে। কেননা, দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলি ভোটে অংশ নিচ্ছে না। মূলত শাসকদল আওয়ামী লীগ, তাদের লেজুর সংগঠন হিসাবে পরিচিত সাইন বোর্ড সর্বস্ব কয়েকটি দল ভোটে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি ভোটে লড়লেও আওয়ামী লীগ গুন্ডাদের ভয়ে ওই দলের অনেক প্রার্থীই রণে ভঙ্গ দিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন।
গত সপ্তাহেই বিএনপির পক্ষ থেকে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব এবং বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলিতে চিঠি দিয়ে ৭ জানুয়ারির ভোটকে স্বীকৃতি না দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে যাতে মুখ না পোড়ে তার জন্য ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার ফরমান জারি করেছে আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ। বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, ভোট দিতে না গেলে ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়া হবে। এমনকি সরকারি সুবিধাও বন্ধ করে দেওয়া হবে। শাসকদল হুমকি দিয়ে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বুঝতে পেরেই ভোটের আগের দিন দেশজুড়ে হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে। যাতে কর্মসূত্রে ও অন্যান্য প্রয়োজনে বাইরে থাকা ভোটাররা বাড়ি ফিরতে না পারেন।