নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: প্রত্যাশামতোই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসকদল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে ফের নির্বাচিত হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের ২২ তম সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সভানেত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। সভানেত্রী হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন দলের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু। সমর্থন জানান মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। সভাপতি পদে আর কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনার নাম সভানেত্রী হিসেবে ঘোষণা হয়। উপস্থিত প্রতিনিধিরা করতালি ও শ্লোগানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে অভিনন্দন জানান। শেখ হাসিনার পাশাপাশি শাসকদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ নিয়ে টানা তিনবার নির্বাচিত হলেন তিনি।
এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আওয়ামী লীগের ২২ তম সম্মেলনের সূচনা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে শেখ হাসিনা। দলী পতাকা উত্তোলন করেন দলের বিদায়ী সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শান্তির প্রতীক হিসেবে সাদা পায়রা ওড়ান দুজনে। পরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রতিনিধিদের উদ্দেশে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। ভাষণে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন আওয়ামী লীগের কাণ্ডারী। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাইনা। কোনও দেশের প্রতি নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক তা চাই না।’
আগামী ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার আগে শাসকদলের জাতীয় সম্মেলন যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সম্মেলনে বিরোধী দল বিএনপির তিন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যদিও তাঁদের কেউই এদিন সম্মেলনে আসেননি।