নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: আগামী ৭ জানুয়ারি কার্যত আরও একটি প্রহসনের ভোট দেখতে চলেছে বাংলাদেশবাসী। বিএনপি-সহ দেশের সিংহভাগ বিরোধী দলই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ভোটের ময়দানে রয়েছে শুধু শাসকদল আওয়ামী লীগ ও তাদের লেজুড় হিসাবে পরিচিত সাইনবোর্ড সর্বস্ব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। কিন্তু ভোট প্রচার শুরু হতেই নির্দল ও অন্যান্য প্রার্থীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের ক্যাডারদের বিরুদ্ধে। ভোট লুঠের আশঙ্কা করছেন নির্দল ও অন্যান্য প্রার্থীরা। শনিবার নাম না করেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। কারচুপির চেষ্টা হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিন বরিশাল জেলার বিভিন্ন সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। ওই বৈঠকেই ভোটে কারচুপির চেষ্টা নিয়ে কড়া বার্তা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটা ভোটও কারচুপির চেষ্টা করা হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। নানা কারণে এবার ভোট নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছ, আমাদের দেশ নিয়ে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করার দাবি আছে বিদেশিদের। প্রার্থীদের সহায়তায় জাতীয় নির্বাচন সফল করতে চাই।’
ভোট গণনার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও ভোটের ফল পাল্টে দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন একাধিক নির্দল প্রার্থী । তাঁদের আশ্বস্ত করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোট পাল্টাতে পারে না। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফল ঘোষণা হয়। প্রার্থীরা ঘরে বসেই জানতে পারেন ফলাফল। সিস্টেমের ওপর আস্থা রাখতে হবে।’