নিজস্ব প্রতিনিধি: পবিত্র চারধাম যাত্রার প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিত দেবভূমি হরিদ্বার হল মন্দির নগরী। এখানে অসংখ্য মন্দির রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে রহস্য ঘেরা মন্দিরটি হল দক্ষিণ কালী মন্দির। শুনলে অবাক হবেন এই মন্দিরের সঙ্গে যোগ রয়েছে কলকাতার বিখ্যাত দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের। মন্দিরেই থাকে সাদা-কালো নাগ-নাগিনী এবং একটি অজগর। কেউ কেউ আবার বলেন এই মন্দিরে একটি ড্রাগনেরও বাস রয়েছে। অনেকেই তাঁদের দেখেছেন, কিন্তু কোনও দিনই তাঁরা কারোও ক্ষতি করেনি। এই মন্দিরে মা কালীর মুখ পূর্ব দিকে অবস্থান করছে। এই ধরনের দক্ষিণ কালী মন্দির সারা ভারতে মাত্র দুটি রয়েছে। একটি এই হরিদ্বারের রহস্যময় মন্দিরটি, আর অপরটি আমাদের কলকাতার দক্ষিণেশ্বর মন্দির।
জানা যায় রামকৃষ্ণদেবের এক শিষ্য এই মন্দির প্রতিষ্ঠার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। হরিদ্বারে চণ্ডীঘাটের কাছেই অবস্থিত এই দক্ষিণ কালী মন্দির। যা হরিদ্বার-নজিবাবাদ হাইওয়ে থেকে চিলা যাওয়ার রাস্তায় পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, এই মন্দির নির্মান এবং প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গুরু কামরাজ। কথিত আছে, মা কালী স্বপ্নে বাবা কামরাজকে এই মন্দির প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর তাঁরই আহ্বানে গঙ্গার তীরের এই মন্দিরে গিয়ে বসবাস করা শুরু করেছিলেন অলহা ও তাঁর স্ত্রী মছলা। বাবা কামরাজ এই মন্দিরে তাঁদের দীক্ষাও দিয়েছিলেন।
স্থানীয়দের আরও দাবি, এই মন্দিরে একজোড়া সাদা ও কালো নাগ-নাগিনী থাকে। আর একটি অজগর সাপও দেখা যায় মাঝেমধ্যে। খুব মাঝেমধ্যে ওই সাদা-কালো নাগ-নাগিনীদের দেখা যায়। বিশেষ করে শ্রাবন মাসে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই জোড়া সর্প কারোও ক্ষতি করেনি। কথিত আছে, এখানে সাধনা করলে সাধক জ্ঞান, আনন্দ ও সিদ্ধি বা অলৌকিক ক্ষমতা প্রাপ্ত হন। তাই এটি দেশের অন্যতম সিদ্ধপীঠ। শনিবার করে হয় বিশেষ পুজো। নবরাত্রিতেও মায়ের বিশেষ পুজো করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করলে রোগ-যন্ত্রণা বা অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি-সহ সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়।