নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতির হদিশ মেলায় বিশ্বজুড়ে যখন উদ্বেগ বাড়ছে, তখন কিছুটা হলেও রাজ্যের সংক্রমণ চিত্র স্বস্তি দিচ্ছে। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭১০ জন আর প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। শনাক্তের হারও স্বস্তি দিয়েছে। ফের পজিটিভিটি রেট দুই শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের শীর্ষে যথারীতি কলকাতা রয়েছে। তবে দৈনিক মৃত্যুতে কল্লোলিনী তিলোত্তমাকে টপকে শীর্ষে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়্বেছে, ‘আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা সামান্য বেড়েছে। একদিনে আরও ৩৭ হাজার ৯৩১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় ৭১০ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৫১ জনে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার কমে দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৮৭ শতাংশে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। এ নিয়ে করোনার মৃত্যুমিছিলে সামিল হলেন ১৯ হাজার ৪৩৯ জন।’
কলকাতায় গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে মহানগরীর লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতা মহানগরীতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দুশোর গণ্ডির নিচে নেমেছে। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮৩ জন আর প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন। উত্তর ২৪ পরগনায় যেখানে বৃহস্পতিবার নতুন করে সংক্রমিত হয়েছিলেন ১৪১ জন, সেখানে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪২ জন। প্রাণ হারিয়েছেন চার জন। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে রাজ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাটি।’
দৈনিক সুস্থতার হারও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ কমিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭২১ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাকে জয় করলেন ১৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৬৫ জন। সুস্থতার হার অবশ্য ৯৮ দশমিক ৩১ শতাংশেই দাঁড়িয়ে। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে কমে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৮৪৭ জনে।