নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখেলকে (Saket Gokhale) বৃহস্পতিবার গুজরাতের (Gujrat) আদালত জামিন দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে আবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে সে রাজ্যের পুলিশ (Police)। এবার এই বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission Of India) তোপ দেগে অভিষেক লেখেন, ‘নির্বাচন কমিশন আত্মসমর্পণ করেছে।… গুজরাতে গণতন্ত্র বিপন্ন রয়ে গিয়েছে।’
শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে টুইট করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন, ‘গুজরাট পুলিশ গ্রেফতার করেছে সাকেত গোখেলকে। তিন দিনের ব্যবধানে দুবার, তাও এখনও সে রাজ্যে আদর্শ আচরণবিধি লাগু রয়েছে! নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করে বিজেপির অনুগত হিসাবে কাজ করে চলেছে। গণতন্ত্র বিপন্ন অবস্থায় রয়ে গিয়েছে।’ গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের কারণে সে রাজ্যে এখন আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ভার নির্বাচন কমিশনের হাতে। তার মাঝে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্রের গ্রেফতারি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল। এবার নির্বাচন কমিশনকে তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে সাকেত গোখলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে ইতিমধ্যে গুজরাতের মোরবিতে রওনা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদল। সেই দলে রয়েছেন সাংসদ দোলা সেন, খলিয়ূর রহমান, অসিত কুমার মাল, ডাঃ শান্তনু সেন এবং সুনীল কুমার মণ্ডল।
প্রসঙ্গত মোরবি সেতু বিপর্যয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিপর্যয়স্থল পরিদর্শন নিয়ে টুইটের জেরে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশের সাইবার সেল। দু দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার তাঁকে জামিন দেয় আদালত। কিন্তু জামিন পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে আবার তাঁকে কোনও নোটিস ছাড়া গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ।
উল্লেখ্য গুজরাতের মোরবিতে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৪১ জনের। সেই বিপর্যয়ের ৪৮ ঘন্টা পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর ওই সফরে ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল বলে দাবি করে টুইট করেছিলেন সাকেত গোখেল। তথ্যের অধিকার আইনে তিনি ওই তথ্য পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। অন্যদিকে সেই তথ্যকে ভুয়ো বলে দাবি করে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। পিআইবি’র তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, আরটিআইতে ওই ধরনের কোনও তথ্য জানানো হয়নি। তারপর প্রধানমন্ত্রীর নামে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে সাকেতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।