নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সব জল্পনার অবসান। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর (Rajsthan CM) কুর্সি বাঁচাতে কংগ্রেস সভাপতি (Conghress President) পদের ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন অশোক গহলৌত (Ashok Gehlot)। আজ বৃহস্পতিবার দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির (Sonia Gandhi) সঙ্গে বৈঠক শেষে নিজেই এ কথা ঘোষণা করেছেন মরু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে রাজস্থানে তাঁর অনুগামী বিধায়কদের বিদ্রোহের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রীর (Congress President) কাছেও ক্ষমা চেয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রাজস্থানে যেভাবে তাঁর পাঠানো পর্যবেক্ষকদের অপমান করেছেন গহলৌত অনুগামীরা তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস সভানেত্রী। ফলে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে গান্ধি পরিবারের সমর্থন পাওয়া যাবে না বুঝতে পেরেই লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী।
দীর্ঘ দু’দশক বাদে আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচন হতে চলেছে। ওই নির্বাচনে গান্ধি পরিবারের সমর্থন নিয়ে লড়ার কথা ছিল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের (Ashok Gehlot)। দলের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেও মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আর গহলৌতের (Ashok Gehlot) ওই মন্তব্য নিয়ে দলের অন্দরেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) স্পষ্টই জানিয়ে দেন, ‘উদয়পুরে চিন্তন শিবিরে দলে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ কার্যকর করার যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল, তা উচিত সবার মেনে চলা।’ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে গহলৌত (Ashok Gehlot) নির্বাচিত হলে মরু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব কার হাতে সঁপে দেওয়া হবে তা ঠিক করতে নিজের দুই অনুগামী মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) ও অজয় মাকেনকে (Ajay Maken) পাঠিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi)। কিন্তু দুই পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখাই করেননি গহলৌতের অনুগামীরা। এমনকী শচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হলে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেবেন বলেও হুমকি দেন।
গহলৌত অনুগামীদের এমন বিদ্রোহ ভালভাবে মেনে নেননি সোনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi)। আর দলনেত্রীর কঠোর মনোভাবের আঁচ পেয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দিল্লি ছুটে এসে সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। রাজস্থানে যা ঘটেছে তার জন্য কংগ্রেস সভানেত্রীর কাছে ক্ষমা চান তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন, দলের সভাপতি পদে লড়বেন না। রাজস্থানে সরকার বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী পদেই থাকবেন।