নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আচমকাই বৈঠক করেছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। আর ওই বৈঠক ঘিরে মরাঠা রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। ওই জল্পনার মাঝেই রাতে এনসিপি সুপ্রিমোর বাড়ি ছুটে গেলেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি। দুজনের মধ্যে কী নিয়ে কথা হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। কিন্তু একনাথ শিন্ডের সঙ্গে বৈঠকের পরে শরদ পওয়ারের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত গৌতম আদানির ছুটে যাওয়া নিয়ে তুমুল জল্পনা তৈরি হয়েছে।
গত এপ্রিলেই আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলে একান্ত সাক্ষাৎকারে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করে তদন্ত চালানোর বিরোধিতা করেছিলেন মরাঠা স্ট্রংম্যান হিসেবে পরিচিত শরদ পওয়ার। বিজেপি বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর দায়িত্ব নেওয়া এনসিপি সুপ্রিমোর বক্তব্য ছিল, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে। পরে অবশ্য নিজের বক্তব্য থেকে খানিক পিছু হঠেছিলেন পওয়ার। জেপিসির বিরোধিতা করে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পরে গত ২০ এপ্রিল মুম্বইয়ের সিলভার ওকের বাড়িতে গিয়ে এনসিপি সুপ্রিমোর সঙ্গে প্রায় দুই ঘন্টার মতো বৈঠক করেছিলেন গৌতম আদানি। ওই বৈঠক ঘিরে বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
এদিন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সঙ্গে বৈঠকের পরেই পওয়ারের বাড়িতে গৌতম আদানির ছুটে যাওয়া নিয়ে মরাঠা রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও এনসিপি সুপ্রিমো জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ওই দলটির গৌতম আদানির সঙ্গেও দেখা করার কথা ছিল। তাই আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার ওই দলের সঙ্গে বৈঠকের জন্য তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন। যদিও ওই ব্যাখ্যা মেনে নিতে নারাজ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।