নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় কী শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হতে হচ্ছে কংগ্রেস সভানেত্রী (Congress President) সোনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi) ও রাহুল গান্ধিকে (Rahul Gandhi)? বুধবার সন্ধেয় আচমকাই ন্যাশনাল হেরাল্ড দফতরে ইয়াং ইন্ডিয়া (Young India) অফিস সিল করার পাশাপাশি সোনিয়া গান্ধির (Sonia Gandhi) বাসভবন ১০ জনপথের (10 Janapath) সামনে বিশাল সংখ্যক দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) ও সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরও (Congress HQ) ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কংগ্রেস দফতর সংলগ্ন বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। কার্যত নাকাচেকিং চালানো হচ্ছে।
শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, তুঘলক রোডে রাহুল গান্ধির বাসভবনও ঘিরে রেখেছে দিল্লি পুলিশ ও সিআরপিএফের জওয়ানরা। ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে, রাতেই কংগ্রেস সভানেত্রীকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি। সোনিয়ার বাসভবন ও ২৪ আকবর রোড পুলিশের ঘিরে ফেলার খবর পেয়েই দলের সদর দফতরে পৌঁছতে শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতারা।
গতকাল মঙ্গলবারই দিল্লির বাহাদুর শাহ জাফর মার্গে ন্যাশনাল হেরাল্ড ভবন সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডির আধিকারিকরা। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে কংগ্রেসের দুই নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও পবন বনশালকেও জেরার জন্য তলব করেছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু দুই নেতা সেই তলবে সাড়া দেননি বলে অভিযোগ তুলে এদিন বিকেলে ন্যাশনাল হেরাল্ড ভবনে থাকা ইয়াং ইন্ডিয়া লিমিটেডের দফতর সিল করে দেন ইডির আধিকারিকরা। আর ওই দফতর সিল করার খানিকক্ষণ বাদে কংগ্রেসের সদর দফতরের বাইরে বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কংগ্রেস দফতরে আসার বিভিন্ন রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ২৪ আকবরের রোডের কাছাকাছি থাকা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির বাড়িও ঘিরে ফেলা হয়। আর ওই খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পরে যায়।