নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মাঝ আকাশে উডা়নে যাত্রীর গায়ে এবং কম্বলে অপর যাত্রীর অভব্যতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন এয়ার ইন্ডিয়ার অসবরপ্রাপ্ত পাইলটরা। কর্মরত বহু পাইলটও সমর্থন জানিয়েছে। রবিবার অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বেশ কয়েকজন পাইলট জানিয়েছেন, ঘটনা যে লজ্জাজনক তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু যেভাবে ঘটনাটিকে তুলে ধরা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে সব দোষ পাইলট-কো পাইলট এবং কর্মীদের। এভাবে তাদের কোনওভাবেই বলির পাঁঠা করা যাবে না।
তাদের এই প্রতিবাদের নেপথ্যে রয়েছে সংস্থার সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাম্পবেল উইলসনের একটি ই-মেল, যেটা তিনি পাঠিয়েছেন সংস্থার কর্মীদের। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টাটা শিল্পগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণের রবিবারের বিবৃতি। যে বিমানে প্রথম এই প্রস্রাবের ঘটনা ঘটে, সেই বিমানের চার কর্মী এবং পাইলটকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের ডি-রোস্টার করা হয়েছে। যার অর্থ, তারা বিমান চালানোর দায়িত্ব পাবেন না। শো-কজ নোটিশের জবাবে সন্তুষ্ট হলে তারা দায়িত্ব ফিরে পাবেন।
প্রাক্তন পাইলট তথা প্রাক্তন বিমান নিরাপত্তা আধিকারিক এস এস পানাসের জানিয়েছেন, নিয়ম অনুসারে, টেক অফ থেকে ল্যান্ডিং এই মধ্যবর্তী সময়ে উডা়নের মধ্যে কী হয়েছে, তা লিখিতভাবে বিমান ক্রু পাইলটকে দেবে। পাইলট তাতে সই করে কর্তৃপক্ষকে জমা দেবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা হল সব দোষ পাইলট আর ক্রুদের ঘাঁড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।