নিজস্ব প্রতিনিধি: বিভিন্ন সময়ে দেশের একাধিক রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে ঘৃণা-ভাষণ (Hate speeches) বা হেট স্পিচ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কীভাবে ঘৃণাভাষণ বন্ধ হবে সেই বিষয়ে এবার মত প্রকাশ করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ, ‘রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করা বন্ধ করলে ঘৃণাভাষণ দূর হবে।’ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করার জন্য কড়া বার্তাও দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, যে মুহূর্তে রাজনীতি এবং ধর্ম আলাদা হয়ে যাবে এবং রাজনীতিবিদরা ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা বন্ধ করে দেব ঘৃণাভাষণ দূর হয়ে যাবে। বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতাকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বিভিন্ন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অবমাননার আবেদনের শুনানি ছিল বুধবার। সেই মামলায় এদিন পর্যবেক্ষণে শীর্ষ আদালত এই মন্তব্য করেছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ (Justices KM Joseph) এবং বিভি নাগারত্নার (BV Nagarathna) বেঞ্চ প্রশ্ন করে, কেন লোকেরা নিজেদেরকে সংযত রাখতে পারে না? বিচারপতি কে এম জোসেফ বলেন, প্রতিদিন, স্বঘোষিত মোড়লরা অন্যদের বদনাম করার জন্য টিভি এবং পাবলিক ফোরামে বক্তৃতা করছে। কেন ভারতের মানুষ অন্য নাগরিক বা সম্প্রদায়কে অপমান না করার প্রতিজ্ঞা করতে পারে না।
বিচারপতি বিভি নাগারত্না (BV Nagarathna) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং অটল বিহারী বাজপেয়ীর বক্তৃতার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কোথায় যাচ্ছি? পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, অটল বিহারী বাজপেয়ীর মতো বক্তা ছিলেন। গ্রামাঞ্চলের লোকজন তাঁদের বক্তৃতা শুনতে আসতেন। এখন চারদিক থেকে পাল্লা দিয়ে এসব বিবৃতি দিচ্ছে স্বঘোষিত মোড়লরা। আর আমরা এখন সব ভারতীয়দের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি? অসহিষ্ণুতা আসে জ্ঞান ও শিক্ষার অভাব থেকে।’ আগামী ২৮ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।