নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্য বাংলায় শিল্প গড়ে তোলা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট জয়ের পর তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন লক্ষ্য শিল্প। তাই শিল্পের জোয়ার আনতেই সিদ্ধহস্ত মমতা। করোনার লাগাম হাতে থাকার জন্য আগামী বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। আর তাঁকে কেন্দ্র করেই দেশের সর্বত্র শিল্পপতিদের আহ্বান জানাচ্ছেন মমতা। দু’দিনের সফরে বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ইনফোকোমের ভার্চুয়াল উদ্বোধনেও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে একটাই বুলি, ‘এবার শিল্প’। সন্ধ্যায় মুম্বইতে বাণিজ্যিক সংগঠন ওয়াইপিও আয়োজিত ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দেশের একাধিক শিল্পপতি। ওই বৈঠকে বাংলায় শিল্প-সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরেন মমতা।
বাংলাই ভবিষ্যৎ, এই রাজ্যের সঙ্গে যোগ রয়েছে পড়শি দেশ বাংলাদেশের। ভুটান, নেপাল, আবার উত্তর-পূর্ব ভারত যাওয়া অতি সহজ। রয়েছে সমুদ্র, বন্দর, খনিজ তেল ও কয়লা খনি। যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, শ্রমিক দক্ষ কিংবা অদক্ষ, বিমানবন্দর, পাহাড়, লালমাটি কিংবা একাধিক বায়োস্ফিয়ার। বাংলায় বিনিয়োগের জন্য রয়েছে জমি ও ভবিষ্যৎ। বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে শিল্পের জন্য। সেটাই মুম্বইয়ে ওয়াইপিও আয়োজিত সম্মেলনে বড় বড় শিল্পপতিদের জানিয়েছেন মমতা। করোনার অতিমারী চিন্তার মাঝেই শিল্প সম্মেলন করছেন মমতা। চিন্তা রয়েছে একাধিক দেশ না আসার। তাই প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্য অতিথি করে আনছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের একাধিক মিটিং কিংবা প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার জানিয়েছেন শিল্পই এবার লক্ষ্য। বুধবারে মুম্বইয়ের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনকারী মেধা পাটকারকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আদানি-আম্বানিও চাই আবার কৃষিও চাই।’
গত দু’বছর বাণিজ্য সম্মেলন হয়নি রাজ্যে। করোনা পরিস্থিতির জেরেই গত দু’বছর এই সম্মেলন স্থগিত রাখা হয়েছিল। বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। রয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। ২০২২ সালের সম্মেলনেও দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা যোগ দিতে চলেছেন। এ বারের লক্ষ্য, আগের চেয়ে আরও বড় আকারে এই সম্মেলন আয়োজন করা। আগেও বাণিজ্য সম্মেলনে একাধিক বিনিয়োগ এসেছে রাজ্যে। আগামী বছরে যার মাত্রা বাড়াতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।