নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলেঙ্গানায় : তেলেঙ্গানা সফরে গিয়ে রেশন দোকানে পরিদর্শনে এসে মোদির ছবি না দেখে জেলা কালেক্টরকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করেছিলেন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। যা নিয়ে বিতর্ক দেখা যায়। প্রতিটি রেশন দোকানে যাতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকে, তা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি। সীতারমনের সেই নির্দেশের পর অভিনব দৃশ্য দেখা গেল দক্ষিণের এই রাজ্যে। গ্যাস সিলিন্ডারে মোদির ছবির সঙ্গে দাম সেঁটে বিজেপিকে বিব্রত করার পন্থা নিল তেলেঙ্গানায় ক্ষমতাসীন টিআরএস। এ নিয়ে দলের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও টুইট করা হয়েছে ।
অতিসম্প্রতি তেলেঙ্গানা সফরে আসেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেখানে গিয়ে তিনি রেশন দোকান পরিদর্শন করেন। রেশন দোকানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি না দেখে রাগে অগ্নিশর্মা হন তিনি। স্থানীয় জেলা কালেক্টরকে ডেকে অবিলম্বে সব দোকানে মোদির ছবি লাগাতে নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, আমাদের ছেলেরা এসে প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে যাবে। দেখবেন, কেউ যেন খুলে না নেয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, ৩৬ টাকা কেজি চালের মধ্যে কেন্দ্র দেয় ৩০ টাকা। ৪ টাকা দেয় রাজ্য সরকার। আর বাকি এক টাকা গ্রাহকের থেকে নেওয়া হয়। সীতারমনের ওই ধমকের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।
এর পাল্টা হিসাবে ‘গান্ধিগিরি’ বেছে নেয় তেলেঙ্গানায় ক্ষমতাসীন টিআরএস। মোদি জামানায় গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া। অনেক আগেই তা হাজারের গন্ডি পেরিয়েছে। যা নিয়ে গ্রাহকদের ক্ষোভ তুঙ্গে। এই ক্ষোভকে হাতিয়ার করেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল কেসি আরের দল। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির পক্ষ থেকে একটি ভিডিও টুইট করা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি। সঙ্গে গ্যাসের দামও। টুইটে লেখা হয়েছে, ‘আপনার ছবি চাই তো মোদিজি। এই নিন ছবি !’ এ প্রসঙ্গে তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি হরিশ রাও বলেন, ‘দেশের যে পাঁচ-ছ’টি রাজ্য দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ করে তাঁর মধ্যে তেলেঙ্গানা অন্যতম। তাহলে কি আমরা বাকি রাজ্যগুলিকে কেসি আরের ছবি টাঙিয়ে রাখতে বলব?’ তাঁর অভিযোগ, রেশন দোকানে নরেন্দ্র মোদির ছবি রাখতে বলে সীতারমন প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছেন। হরিশ রাওয়ের দাবি, রেশন সামগ্রীর ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ ব্যয়ভার কেন্দ্র বহন করে। বাকিটা রাজ্যকেই চোকাতে হয়। তেলেঙ্গানায় প্রতিমাসে বিনামূল্যে ১০ কেজি চাল দেওয়া হয়। এর জন্য রাজ্য সরকার প্রতি মাসে ৩৬১০ কোটি টাকা খরচ করে।