নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি: একটি ছবি, যা দেশের মান সম্মানকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। ছবিটি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের জনপ্রিয় সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতায়। পত্রিকার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ছবিটি জাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে দেরি হয়নি ওই ছবি-সহ প্রতিবেদন।
সাংবাদিকতায় একটি প্রবাদবাক্য রয়েছে নিউজ বিহাইন্ড নিউজ। আশা করি এর বাংলা তর্জমা করার প্রয়োজন হবে না। প্রশ্ন হল মোদির এই ছবির কারিগর কারা। পাঠকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক এই মোদি ভক্তদের। সৌজন্য মালব্য অ্যান্ড কোম্পানি।
মনোজ কুমার জৈন যোশী
টুইটার অ্যাকাউন্টে নিজের পরিচয় দিয়েছেন সাংবাদিক, শিক্ষক, লেখক এবং সমাজসেবী। কোন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত তা কিন্তু কেউ জানে না। নিজেকে শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, তার কোনও উল্লেখ নেই।
কবিতা মেয়র
ইনিও অন্যতম মোদি-ভক্ত। টুইটার অ্যাকাউন্টে যোগদান ২০২০ সালে। ফলোয়ার এক হাজারের বেশি। ইনি অবশ্য নিজের ব্যাপারে টুইটারে বিশেষ কিছু উল্লেখ করেননি। তবে ফলোয়ারের সংখ্যা এক হাজারের বেশি। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টের ক্য়াচলাইন দেশ সে পেয়ার আঔর মোদি সে পেয়ার এক বাত (বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় দেশকে ভালোবাসা আর মোদিকে ভালোবাসা সমার্থক)
রোহিত চাহাল
ইনি অবশ্য নতুন নন। তাও পাঠকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক। বিজেপি যুব শাখার জাতীয় সাধারণ সম্পাদক। এনারও টুইটার অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার প্রায় লাখের কাছাকাছি ( ৭৬ হাজার)।
যে প্রশ্ন দেশবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে এরকম একটা জাল ছবিয়ে ছাপিয়ে ভারতের মান সম্মান জলে ডুবিয়ে দেওয়ার অধিকার তাদের কে দিল? আর ডুবিয়ে যখন দিয়েছে, তখন নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে।