নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে ভোটদানের হার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। শুক্রবার রাজ্যে ভোট পড়েছে ৭৬.২২ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল ৭৫.৬৩ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের চেয়ে এবার বেশি ভোট পড়েছে। অন্যদিকে ছত্তিশগড়ে ভোট পড়েছে ৭৫.৮৮ শতাংশ।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবারে বেশি সংখ্যক মানুষ ভোট দিয়েছেন। ২০০৩ সালে রাজ্যে ভোটদানের হার ছিল মাত্র ৬৭.২৫ শতাংশ। ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে ভোটদানের হার ছিল যথাক্রমে ৬৯.৭৮, ৭২.১৩ ও ৭৫.৬৩ শতাংশ। শুক্রবার সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে সিওনি জেলায়। সেখানে ভোটদানের হার ৮৫. ৬৮ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে আদিবাসী অধ্যুষিত পশ্চিমাঞ্চলের আলিরাজপুরে। ওই জেলায় ভোট পড়েছে গড়ে ৬০.১০ শতাংশ। মাওবাদীদের অধ্যুষিত বালাঘাটে বুলেট নয়, ব্যালটের উপরেই ভরসা রেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই জেলায় ভোট পড়েছে ৮৫.২৩ শতাংশ।
শুক্রবারের নির্বাচনে ভোটদানের হার চিন্তায় ফেলেছে বিজেপি নেতৃত্বকে। কেননা, গত নির্বাচনে ৭৫.৬৩ শতাংশ ভোট পড়াতে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছিল। টানা ১৫ বছর বাদে ফের কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় ফিরেছিল। যদিও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিশ্বাসঘাতকতায় সেই সরকার বেশিদিন টেকেনি। এবারে গতবারের চেয়ে বেশি ভোট পড়াতেও কী সরকার বদল ঘটবে? এমন প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বের মনে। কংগ্রেস নেতৃত্ব আশাবাদী, সরকার বদলের লক্ষ্যেই বেশি করে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যবাসী। তবে রেকর্ড সংখ্যক ভোটদান কোন শিবিরের পক্ষে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়ায় তা জানতে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত অশপেক্ষা করতে হবে। কেননা ওইদিনই বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের সিল খোলা হবে।