নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাজধানী দিল্লিতে আইনশৃঙ্খলা কোন তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে ফের তার নিদর্শন মিলল। ৯ বছরের এক শিশুকন্যাকে প্রথমে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। তার পরে ফুটফুটে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করেছে ৫২ বছর বয়সী এক নরপিশাচ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও চরম লালসার বলি শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার করা যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে স্বরূপনগরে। ওই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘দিল্লির স্বরূপনগরের এক ভাড়া বাড়িতে থাকেন হত শিশুর বাবা-মা। দুজনেই স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন। গ৩ ১২ ডিসেম্বর বাবা-মা কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরে বাড়ির সামনেই খেলা করছিল ৯ বছরের শিশু কন্যা। বাড়ি ফিরে শিশু কন্যাকে না দেখতে পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন। খোঁজাখুঁজি শেষে মেয়ের হদিশ না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন ঘটনার দিন ৫২ বছর বয়সী এক ব্যাক্তি শিশু কন্যাকে অপহরণ করে স্কুটারে চাপিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। অপহরণকারীর সন্ধানে জোর তল্লাশি শুরু হয়। অবশেষে গত রবিবার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।’
জেরার মুখে অভিযুক্ত জানায়, ৯ বছরের শিশু কন্যাকে প্রথমে অপহরণ করে গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করেছে। তার পরে মেয়েটির নিথর দেহ মুনাক খালে ভাসিয়ে দিয়েছে। জেরায় অভিযুক্ত সত্যি কথা বলছেন কিনা, তা জানতে মঙ্গলবার মুনাক খাল এবং সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ তল্লাশি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। যদিও খুন হওয়া শিশু কন্যার মৃতদেহের সন্ধান মেলেনি।