নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রায় ১৬ বছর ধরে তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। জনতা দল (সংযুক্ত) এবং বিজেপি জোটের হাত ধরে এখনও তিনি বিহারর মুখ্যমন্ত্রীর পদেই অধিষ্ঠিত। কিন্তু সম্প্রতি কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ আর মোটেই ভালো লাগছে না নীতীশ কুমারের। মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়ে রাজনীতির অন্য পদগুলির অভিজ্ঞতা তিনি অর্জন করতে চান। আর তাই কখনও শোনা যাচ্ছে তিনি আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পদপ্রার্থী হতে চলেছেন, কখনও আবার খবর আসছে তিনি লালু প্রসাদ যাদব, সুশীল মোদির মতো রাজ্যসভার সদস্য হতে চান। দিন কয়েক আগেই শোনা গিয়েছিল আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের হয়ে পদপ্রার্থী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার। সেই ব্যাপারে তিনি নিজমুখে কিছু না বললেও রাজ্যসভার সদস্য প্রসঙ্গে নিজের মুখেই স্বীকার করলেন যে রাজ্যসভার সদস্য হতে তিনি আগ্রহী।
জানা যাচ্ছে, বুধবার সকালে নীতীশ কুমার ইজেই জানিয়েছেন যে তিনি রাজ্যসভার সদস্য হতে চান। এরপরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। তাহলে কি নীতীশ কুমার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিহারের বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করে এবার সংসদের দিকে পা বাড়াতে চলেছেন? মুহূর্তে শুরু হয় সেই নিয়ে জল্পনা। সেই রহস্য অবশ্য জিইয়ে রেখেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরে জানিয়েছেন, রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও এই ব্যাপারে আগামীর কথা তিনি কিছুই জানেন না।
এদিন সাংবাদিকরা নীতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসা করেন যে, তিনি নালন্দা থেকে সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা বিবেচনা করছেন কি না, যেহেতু তিনি এখন বিলুপ্ত লোকসভা কেন্দ্র বারহের প্রার্থী এবং সেখান থেকে তিনি পাঁচবার জিতেছেন। কিন্তু এই বারহের প্রধান অংশ এখন নালন্দায়। কিন্তু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এই প্রশ্ন একেবারেই উড়িয়ে দেন, ‘কোনও প্রশ্ন নেই’ বলে। কিন্তু তিনি রাজ্যসভার সদস্য হতে চান কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজ্যসভায় যেতে আমার আপত্তি নেই কিন্তু আপাতত, মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব আমার ওপর রয়েছে। আমি ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যে। তাই আমি কিছু জানি না।’
দিন কয়েক আগেই শোনা যাচ্ছিল আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার। তবে এই প্রসঙ্গে তাঁকে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। উল্টে বিরোধী নেতাদের একাংশ দাবি করেন, এই ব্যাপারে তখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে, যখন নীতীশ কুমার বিজেপি দলের সঙ্গে জোট ভাঙবেন।