নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবার সকালে কংগ্রেস দল তথা কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধিকে সরাসরি আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বলকে। তার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই গান্ধি পরিবারের সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সিব্বল। এমনকি কংগ্রেস সমর্থকরা তার একটি গাড়িও ভাঙচুর করেছে জানা গিয়েছে।
বুধবার বিকেল থেকেই কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা সিব্বলের বাড়ির চারপাশে জমায়েত করেন। তাঁদের গলায়, ‘দল ছাড়ো নয়তো নিজের জ্ঞানে ফিরে এসো’ এবং ‘রাহুল গান্ধি জিন্দাবাদ’ স্লোগান শোনা যায়। এমনকি কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা সিব্বলের বাড়ি এবং গাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছুঁড়েছেন বলে অভিযোগ। ওই ইটের আঘাতেই সিব্বলের একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু বিক্ষোভের মুখে পড়েও এই প্রবীণ নেতা কংগ্রেসকে নিয়ে তাঁর যে ধারণা তৈরি হয়েছে তা থেকে এক চুলও সরেননি। আর তাই বিক্ষোভের পর তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি এই সমস্ত নাটক নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত নই। আমি যা বলেছিলাম তা খুব সতর্কভাবেই বলেছিলাম।’
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে পঞ্জাবে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য নাম না করেই সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সিব্বল। গান্ধি পরিবারের কোনও সদস্যের নাম না করে এদিন তিনি কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘দলের কোনও নির্বাচিত সভাপতিই নেই। তাহলে এখন প্রশ্ন হল কে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন? সম্প্রতি কংগ্রেস দলের অন্দরেই জোর বিবাদ লেগেছে। আর সেই বিবাদের জেরে সোনিয়া এবং রাহুলের উপর ক্ষেপেছেন কংগ্রেসের বহু প্রবীণ নেতা। এমনকি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, জিতেন প্রসাদের মতো প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গ তুলেও এদিন তিনি সোনিয়া-রাহুলকে একহাত নিয়ে বলেন, ‘যারা গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তাঁরাই দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন আর যারা তাঁদের ঘনিষ্ঠ নয় তাঁরা এখনও দলে রয়েছেন।’
সিব্বলের এহেন আক্রমণের পরেই কংগ্রেস এবং গান্ধি সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। জানা যাচ্ছে, এদিন কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা বহুক্ষণ সিব্বলের বাড়ির সামনে ‘গেট ওয়েল সুন কপিল সিব্বল’ লেখা পোস্টার হাতে করে দাঁড়িয়ে ছিলেন।