নিজস্ব প্রতিনিধিঃ উদ্ধার হল সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ললিত ঝার ধ্বংস করা মোবাইল ফোনের কিছু অংশ। রবিবার রাজস্থান থেকে উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, সমস্ত ফোনই পুড়ে যাওয়া অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। লোকসভার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা সমস্ত অভিযুক্তের ফোন নষ্ট করে দিয়েছে। দিল্লি পুলিশ এখনও ললিত ঝার ফোন উদ্ধার করতে পারেনি। সংসদে নিরাপত্তা ভঙ্গের খবর যাতে অভিযুক্তরা পুলিশকে দিতে না পারে সেইজন্যই তাদের ফোনগুলিকে পুড়িয়ে দেয় ললিত ঝা। তবে মজার বিষয় হল শনিবার রাজস্থানের নাগৌর থেকে মহেশ কুমাওয়াতকে গ্রেফতার করার পরেই রবিবার পুড়ে যাওয়া ফোনগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। সংসদ হামলায় এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লির পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা।
গত ১৬ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে আচমকাই সংসদ চলাকালীন লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে সাংসদদের বসার আসনে পৌঁছে যান ডি মনোরঞ্জন ও সাগর শর্মা নামে দুই যুবক। দুজনেই কর্নাটকের মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার ইস্যু করা দর্শক পাস নিয়ে লোকসভায় ঢুকেছিলেন। সাংসদ আসনে পৌঁছে যাওয়ার পরেই মনোরঞ্জন ও সাগর সাংসদদের লক্ষ্য করে রং বোমা ছুড়তে থাকেন। প্রথমে খানিকটা হতচকিত হয়ে পড়লেও সম্বিত্ ফিরে পাওয়ার পরে দুজনকেই পাকড়াও করেন সাংসদরা। তাদের নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মনোরঞ্জন এবং সাগর যখন লোকসভার ভিতরে রং বোমা ছুড়ছিলেন তখন সংসদ ভবনের বাইরে ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’ বলে শ্লোগান দিয়ে হুলুস্থুলু বাঁধিয়ে দেন নীলম ও আনমোল নামে আরও দুই যুবক-যুবতী। তাদেরও গ্রেফতার করা। চার জনকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পারে সংসদ হানার মূল পরিকল্পনাকারী বিহারের বাসিন্দা ললিত ঝা। তাকে ধরতে হন্য হয়ে ঝাঁপিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করেন ললিত। পাঁচ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বা ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।