নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হিজাব পরা ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়ায় বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের আরও এক শিক্ষককে সাসপেন্ড করল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে গত দুদিনে সমগ্র কর্ণাটকে মোট আটজন শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হল। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের কালাবুরাগী জেলার একটি স্কুলে বেশ কয়েকজন বোরখা পরা ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অনুমতি দেন ওই শিক্ষক। এরপরেই তাঁকে সাসপেন্ড করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকে সম্প্রতি শুরু হয়েছে দশম শ্রেণীর পরীক্ষা। যেহেতু এর আগেই গত ১৫ মার্চ কর্ণাটক হাইকোর্ট আবেদনকারীদের সমস্ত আবেদন খারিজ করে স্কুল, কলেজ কিংবা যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোরখা পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তাই এই পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ছাত্রীদের ওপর একই নিয়ম লাগু করা হয়েছে। এরপরেও যারা বোরখা পরে পরীক্ষা দিতে আসছে তাঁদের স্কুলে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং বোরখা খোলার পরেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় গতকাল কয়েকজন বোরখা পরা ছাত্রীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া অনুমতি দেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা। সেই খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। একই ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবারও। জানা যাচ্ছে, এদিনও কর্ণাটকের কালাবুরাগী জেলার একটি স্কুলে বেশ কয়েকজন বোরখা পরা ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অনুমতি দেন এক শিক্ষক। তাঁকেও সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রী বি সি নাগেশ বলেছেন, ‘সরকার হাইকোর্টের আইন, বিধি এবং রায় অনুসারে নির্দেশ দিয়েছে। প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। যদি এটি অনুসরণ করা না হয়, অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং তাঁদের নোটিশ দিতে হবে। যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা এই নিয়ম নির্দেশ মানেননি তাঁদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’ উল্লেখ্য, এই দশম শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষা প্রসঙ্গে কর্ণাটক সরকার গত ২৫ মার্চই নির্দেশ দিয়েছিল যে, এই পরীক্ষার জন্য স্কুলের পোশাক বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ এই পরীক্ষায় বসতে গেলে স্কুলের নির্ধারিত পোশাকই পরে আসতে হবে। নয়তো কোনও ছাত্রীকেই পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেওয়া হবে না।