লখনউ: এক কিলোমিটার বা ১০ কিলোমিটার নয়, দণ্ডিকেটে কাকা-ভাইপো নিজেদের গ্রাম থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে লখনউতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। কিন্তু এত কষ্ট করে যাওয়া বিফলে হল। দেখা করলেন না যোগী আদিত্যনাথ। খালি হাতেই ফিরতে হল তাঁদের।
জয়পাল ও মুন্নিপাল সম্পর্কে কাকা-ভাইপো। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মানসিক করেছিলেন দণ্ডিকাটার। যদি যোগী আদিত্যনাথ দ্বিতীয়বার উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী হন, তাঁরা দণ্ডিকেটে গ্রাম থেকে লখনউয়ে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। দ্বিতীয়বারের জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন যোগী আদিত্যনাথ। জয়পাল ও মুন্নিপাল ঠিক করেন দণ্ডিকেটে লখনউয়ে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। সেই অনুযাযী রোদের তাপ, গরম ও সমস্ত প্রতিকূলতাকে অগ্রাহ্য করে দণ্ডিকেটে ২৫০ কিলোমিটার পার করেন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন না মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যোগীর বাসভবনে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা জানান, তাঁরা যেন ১৫ তারিখের পরে আসেন। তবে গ্রামবাসীরা তাঁদের সাদরে স্বাগত জানিয়েছেন।
জয়পাল ও মুন্নিপাল বলেন, ১২ দিন লেগেছে নিজেদের গ্রাম থেকে লখনউয়ে আসতে। ভেবেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর দেখা পাবেন।কিন্তু নিরাশ হতে হয়েছে তাঁদের। কিন্তু এতটা রাস্তা দণ্ডিকেটে তিনি কীভাবে পার হলেন, এই প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, তাঁরা দিনে-রাতে মাত্র চার ঘণ্টা বিশ্রাম নিতেন। চেষ্টা করতেন রাতে বেশি করে এগিয়ে যেতে। তাঁরা ১২ দিনের মাথায় লখনউয়ে পৌঁচেছেন। তবে ফেরার সময় তাঁরা গাড়িতে ফিরেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই নিরাশ হয়েছেন এই কাকা-ভাইপো। তবে খুশি গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদেরে মতে, কাকা-ভাইপো একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁরা সফল হয়েছেন। এতেই খুশি গ্রামবাসীরা।