নিজস্ব প্রতিনিধি: বাঙ্গালির দুর্গাপূজা মানেই কব্জি ডুবিয়ে এবং নিয়ম ভেঙ্গে খাওয়া দাওয়া করা। এই চারটে দিন ডায়েটের চার্ট একেবারে আলমারিতে তুলে দিয়ে মাঠে নামেন সবাই। সারাবছর ফিগার সচেতনার জন্যে কড়া ডায়টের মধ্যে থাকলেও পুজোর এই কটা দিন রেস্তোরাঁয় ভিড় না জমালেই নয়। সারা বছরের ডায়েট করে ফিগারকে এক্কেবারে টানটান করে রাখা, শুধুই তো এই চারটে দিনের জন্যেই তাই না। বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে যদি খাবারই না খান তাহলে বন্ধুদের কাছেও মুখ থাকবে না তাইনা। তবে পুজোর দিনগুলিতে শুধুই যে, ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাতে খেতে হবে তা একেবারেই নয়। রাস্তার ধারের চাউমিন বা দোকান -বাড়ির খাবার সবটাই তখন নৈব নৈব চ। ওজন যদি চারদিন খাবার খেয়ে ২-৩ কেজি বেড়েও যায় তাতেও ক্ষতি নেই। খাবার ছাড়া যাবেনা কোনোমতেই। যদি এই ভয়ও পান তাহলেও আমাদের কাছে আছে কিছু সহজ টোটকা।
পুজার দিনগুলোতে চেষ্টা করুন প্রতিদিন সকালে লেবু দিয়ে গরম জল খেতে এবং প্রাণায়াম সহযোগে ২০- ৩০ মিনিট যোগাভ্যাস করতে, তাতেই আপনার শরীর থেকে সারাদিনে তৈরি হওয়া সমস্ত টক্সিন দূর হয়ে যাবে। রোদে বেরোলে অবশ্যই ছাতা, সানগ্লাস ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সঙ্গে অবশ্যই সারাদিনে প্রচুর জল, ডাবের জল ও ফ্রুট জুস খান।তবে যাদের এমএসজি সেন্সিটিভিটি আছে তাঁরা চাইনিজ খাবার এড়িয়ে চলুন। এছাড়া রাস্তার কল থেকে জল খাবেন না তাতে পেটের সমস্যা হতে পারে।
দুর্গাপূজা চলে যাওয়ার পর শরীর যদি একটু ভারী হয়ে যায়, তাহলে দৈনিক অভ্যাসে ফিরে আসুন। এছাড়া টাটকা সবুজ শাকসবজি ও ফল, প্রো -বায়টিক যুক্ত টক দই খেতে পারেন এবং গ্রিন টিও খাওয়ার অভ্যাসে রাখতে পারেন। অল্প অল্প খাবার বারে বারে খান এতে শরীরের এনজাইম ভালভাবে কাজ করে। মিষ্টি চকলেট ভাজাভুজি চিপস যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলুন।