নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গলবার মাদক কাণ্ডে পুলিশি জেরার মুখে সিদ্ধান্ত কাপুর জানালেন ওইদিনের পার্টিতে তিনি নিজে থেকে কোনও মাদক সেবন করেননি। বরং তাঁকে মাদক যুক্ত সিগারেট এবং পানীয় দেওয়া হয়েছিল। যা সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না। কাজেই এই পার্টিতে মাদক যোগ সম্পর্কেও তিনি কিছু জানেন না।
সিদ্ধান্ত আরও বলেন যে ওই পানীয়তে যে মাদক মেশানো আছে তা তিনি জানতেন না। ের আগে বেঙ্গালুরুতে তিনি বহুবার গিয়েছেন বিভিন্ন বিভিন্ন পার্টিতে ডিজে হিসেবে। এটা ছিল চতুর্থবার। যে হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এই নিয়ে চতুর্থবার তিনি সেখানে গেলেন ডিসিপি ইস্ট ভীমশঙ্কর গুলেড জানিয়েছেন আমরা অতিথিদের তালিকা পেয়েছি এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে,” শুধু তাই নয় সিদ্ধান্ত’ পুলিশকে জানিয়েছে যে বেঙ্গালুরুতে তার প্রচুর বন্ধু-বান্ধব আছে। ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্তের মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এছাড়াও ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের থেকে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।
রবিবার বেঙ্গালুরুর রেভ পার্টি থেকে সিদ্ধান্ত কাপুরসহ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। মাদক সেবনের দায়ে ধরা পড়েন অভিনেতা পুত্র। গ্রেফতারির ২৪ঘন্টার মধ্যেই জামিনে ছাড়া পান সিদ্ধান্ত। ছেলের এমন কাণ্ড শুনে হতবাক বাবা শক্তি কাপুর। সংবাদমাধ্যমকে তিনি একটাই কথাই বলেছিলেন ‘একথা তিনি বিশ্বাস করেন না’। দাদার এমন ঘটনায় মেনে নিতে পারেননি বোন’ শ্রদ্ধা কাপুরও। যদিও এই প্রথমবার নয় এর আগে .২০০৮ সালেও সিদ্ধান্ত মাদক সেবনের দায়ে পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল। অন্যদিকে দু’বছর আগে অর্থাৎ.২০২০তে সুশান্ত সিং রাজপুত এর মৃত্যুর পরে বলিউড জুড়ে যে মাদক যোগের অভিযোগ সামনে আসে তাতে উঠে এসেছিল শ্রদ্ধার নামও।
মাদক চোরাচালানের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিলাসবহুল হোটেল মালিক ও রেভ পার্টির আয়োজকদের ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধিদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত কাপুরের পাশাপাশি মাইন্ড ফায়ার সলিউশনের ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপক অখিল সোনি, শিল্পপতি হরজোথ সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং উদ্যোক্তা হানি এবং ফটোগ্রাফার অখিলকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।