নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি, যার ব্যক্তিগত জীবন থেকে পেশাগত জীবন সবটাই দারুণ চর্চিত। বরাবরই ছকভাঙা তাঁর ব্যক্তিত্ব। যা ভক্তদের সবসময়ই অনুপ্রাণিত করে। ঢালিউডের পাশাপাশি কলকাতাতেও বেশ চর্চিত তিনি। কখনও মাদক মামলায় জড়িয়ে হাজতবাস, আবার কখনও পুলিশ তাঁর বাড়ির নিচে হাঁক-ডাকের আগেই ফেসবুকে লাইভ, কখনও স্বামী রাজের সঙ্গে থাকবেন না বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্ট জানান, সমাজের ত্যাবু ভেঙে বরাবরই পরীমণি সোজা হেঁটেছেন। বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কাহিনীও কারুর অজানা নেই।
যাই হোক, একাধিক ব্যস্ততার মাঝেও কোনও পরিচারিকার দ্বারা নয়, সন্তান রাজ্যকে কোলে-পিঠে করে মানুষ করছেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায় যতদিন রাজ্য ছোট রয়েছে তিনি এইভাবেই তাঁকে নিজের শরীরের মধ্যে মিশিয়ে রাখবেন, বড় হয়ে গেলে তো আর কোলে নেওয়া যাবেনা। যাই হোক, আমরা তো সকলেই জানি পরীমণি কারুর কাছে পরী আবার কারুর কাছে মণি। কিন্তু জানেন কী, অভিনেত্রীর আসল নাম কী? তাঁর অরিজিন্যাল নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। তাহলে স্মৃতি থেকে পরী কী করে হয়ে গেলেন তিনি? সম্প্রতি কলকাতার একটি ইভেন্টে এসেছিলেন পরীমণি। সেখানে তাঁকে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের কথোপকথনে নিজেই জানালেন তাঁর পরীমণি নামকরণের ইতিহাস।
আসলে পরীমণি নামটা রেখেছিলেন তাঁর নানি তাও তাঁর জন্মের তিনদিন পরে। বিয়ের আগে পরীমনির বাবা হজে গিয়ে ঠিক করে এসেছিলেন যদি তাঁর মেয়ে হয় তাহলে তাঁর নাম রাখবেন স্মৃতি। সেই অনুযায়ী, পরীমণি জন্মগ্রহণ করলে তাঁর পরিবার তাঁকে স্মৃতি নামেই ডাকে। কিন্তু তাঁর নানি চেয়েছিলেন সবার নামে তিনি তাঁর আদরের নাতনিকে ডাকবেন না। তাই তিনি নাতনির নাম দিয়েছিলেন পরী। কারণ তাঁদের পরিবারে অনেক সোনা-রূপা জন্ম নিলেও পরী নামে কাউকে তখনও পর্যন্ত ডাকা হয়নি। প্রথম তাঁর দিদা নাম রেখেছিলেন পরী বিবি। কিন্তু পরীমনির জন্মের কয়েকদিন আগেই মারা যান তাঁর দিদা। এরপর ধীরে ধীরে তাঁর পরী নামের সঙ্গে যোগ হয় মণি। এরপর থেকেই তিনি পরিচিত হল পরীমণি নামেই। এখন গোটা বিশ্বের কাছেই তাঁর একটাই পরিচয় পরীমণি। বাংলাদেশের বিখ্যাত অভিনেত্রী, ২০১৫ সালে তাঁর উত্থান, একই বছরে ৬ টি ছবি মুক্তি পায় তাঁর। হয়ে ওঠেন আস্তে আস্তে বাংলাদেশের শীর্ষতম নায়িকা।