নিজস্ব প্রতিনিধি: তারকাদের বিনোদন মহল থেকে রাজনীতির প্রাঙ্গণে আসার ঘটনা নতুন নয়। বাংলার শাসকদল সিংহাসনে বসার পর থেকেই একের পর এক চমক দেখিয়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলে সংযুক্ত হয়েছেন টলিউডের একাধিক তারকা। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন বাংলার দিদি নং ১- রচনা বন্দোপাধ্যায়। আজ ব্রিগেডে ‘জনগর্জন’ সভায় জনগণকে সাক্ষী রেখেই ৪২ জন তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তাঁদের ১৯ জন প্রার্থী তালিকার নাম গত ২ মার্চই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের হয়ে ক’জন দাঁড়াচ্ছেন সাংসদ হওয়ার লড়াইয়ে, সেটাতেই পাখির চোখ ছিল গোটা বাংলার। তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক কী হতে চলেছে, সেটাই দেখার বাকি ছিল!
অবশেষে ৪২ জন তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে সবার সঙ্গেই র্যাম্পে হেঁটে চমকে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান থেকে রচনা তৃণমূলে এবার একাধিক নয়া মুখ। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক পেছনেই দাঁড়িয়েছিলেন রচনা বন্দোপাধ্যায়। যদিও বাংলার টপ রিয়েলিটি শো ‘দিদি নং ১’-এ অংশগ্রহণ করার সময় থেকেই রচনার রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে কানাঘুষো চলছিলই টলিউডের আনাচে-কানাচে। অভিনেত্রী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রচনা বন্দোপাধ্যায়। হিন্দি, ওড়িষা, বাংলা সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন রচনা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু ২০১০ সালে আচমকাই সংসারে মনোনিবেশ করার জন্যে অভিনয়কে বিদায় জানান রচনা। এরপর দিদি নং ১-এর সঞ্চালনা থেকে শাড়ি এবং বুটিকের ব্যবসা শুরু করা, ছেলেকে একা হাতে মানুষ করা, কেরিয়ারের দীর্ঘ জার্নির পর অবশেষে শুরু করলেন তিনি রাজনৈতিক কেরিয়ার। তৃণমূলের হুগলির কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন রচনা বন্দোপাধ্যায়।
অন্যদিকে একাধিক অভিনেত্রী এবার প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। যে তালিকায় আছেন মিমি, নুসরত। যাই হোক, রচনা এবার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে নামছেন। লড়াই হবে একেবারে হাড্ডাহাড্ডি। এতদিন ক্যামেরার সামনে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন লকেট এবং রচনা বন্দোপাধ্যায়। এবার দুজনেই একেবারে বিপরীত মেরুদণ্ডের প্রার্থী। রাজনীতিতে নেমে কেমন লাগছে অভিনেত্রীর? জানালেন একটি সংবাদমাধ্যমে। জানালেন, ‘আমি প্রার্থী হয়েছি। আমার যা কর্তব্য আমি তা ১০০% দেব। আজই তৃণমূলে যোগ দিলাম আর আজই প্রার্থী হলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি শুরু থেকেই খুব মানি। তাঁকে সমর্থন করি। আর যখন তিনি আমাকে এই প্রস্তাব দিলেন, আমি আর না করতে পারিনি। আমি বরাবরই দিদির মতামতে বিশ্বাসী।’