নিজস্ব প্রতিনিধি: রবিবার সন্ধ্যায় হয়ে গেল ‘দিদি নং ১’-এর সেই বিশেষ পর্ব। যে পর্ব দেখার জন্যে পাখির চোখ ছিল গোটা বাংলার। যেদিন থেকে ঘোষিত হয়েছে যে, ‘দিদি নং ১’-এর মঞ্চে বাংলার অগ্নিকন্যা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন, সেদিন থেকেই এই শো দেখার জন্যে উত্তেজিত দর্শক। কারণ ১৪ বছর শাসনে এই প্রথম কোনও বাংলা টেলিভিশন শোয়ে অংশ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল ৩ মার্চ রাত ৮ টা থেকে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘দিদি নং ১’-এর এই বিশেষ পর্বটি। সময়মতোই শুরু হয়ে গিয়েছিল এই শো।
যদিও অনেক আগেই এপিসোডের প্রোমো ভিডিওতে কিছু ঝলক উঠে এসেছিল। যেখানে দেখা গিয়েছিল, জীবন যুদ্ধের কঠিন সংগ্রামের কথা এই শোয়ে তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শোয়ে আরও ৩ প্রতিযোগী ছিলেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, অরুন্ধতি হোম চৌধুরী, শ্রীরাধা বন্দোপাধ্যায়ের মতো একাধিক বিশিষ্ট শিল্পীরা। এছাড়া দর্শকাসনে ছিলেন ইন্দ্রনীল সেন, রুপঙ্কর বাগচি, শিবাজি বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ। এদিন শোয়ে এসেই ‘দিদি নং ১’-এর প্রতি ভালোবাসা উজাড় করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমেই ‘তৃণমূল’এর তরফে সকলকে ‘শুভনন্দন’ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি দিদি নং ১-নিয়ে জানালেন, তাঁর বাড়ির বউরা দেখে ‘দিদি নম্বর ১’। গ্রামবাংলার ৯০ শতাংশ মানুষের ঘরে চলে এই শো। বর্তমানে ‘দিদি নম্বর ১’ মেয়েদের অনুপ্রেরণা হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও এদিন তিনি বাংলার মেয়েদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কথাও তুলে ধরে বলেন, মেয়েরা যাঁরা ব্যবসা করতে চান, তাঁদের সবাইকে সরকার থেকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। ২ লক্ষ মেয়েদের জন্য এই উদ্যোগ।
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১০-১২ বছর বয়স থেকে সংসারের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। বাবা মারা গিয়েছিল। রাত ৩টেয় উঠে রান্না করতেন। ভাইদের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। কলেজ থেকে বেরিয়ে স্কুলে পড়াতে যেতেন। যা টাকা পেতেন সবটাই মায়ের হাতে তুলে দিতেন। যাতে কারও কাছে হাত পাততে না হয়, অর্থের জন্যে দুধের ডিপোতেও কাজ করেছেন। একসময় সব জমি বিক্রি করে বাবার ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন। এরপর নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন, সোশাল মিডিয়াকে সচেতনভাবে ব্যবহার করতে। এদিন শোয়ে এসে গান-নাচ থেকে শুরু করে রুটি বেলা, ছবি আঁকা, নিজের লেখা কবিতা সবটাই পাঠ করে শোনান মুখ্যমন্ত্রী। এককথায় গোটা এপিসোডটা পুরো জমিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।