নিজস্ব প্রতিনিধি: গোপনেই নিজেদের মধ্যে বাগদান সেরেছিলেন। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। তারপরেই জানুয়ারি মাসে বন্ধু ও আত্মীয়দের মধ্যেই করোনা বিধি মেনেই সামাজিক ও আইনি মতে বিয়ে সারেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। যাকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন ও বিতর্ক থাকলেও পাত্তা দিতে নারাজ ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি। এক অনুষ্ঠানে রাজকে বিয়ে করার কারণ জানিয়ে পরী বলেছেন, ‘আসলে আমাদের বিয়ে করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। একসঙ্গে সারা জীবন থাকার জন্যই আমরা বিয়ে করে ফেলি। ‘গুনিন’ ছবির শ্যুটিং শুরুর আগে নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের বাড়িতে যাই। সেদিন সাদা পাঞ্জাবি পরে ঘরের কোনে বসে থাকা একটা ছেলেকে (শরিফুল রাজ) লক্ষ্য করি। গিয়াস আমাকে খুব বকাবকি করছিল। কিন্তু আমি শুধু ঘরের কোনায় বসে থাকা ছেলেটাকেই দেখছিলাম। ওই দিন কোনও বকাবকিই আমার গায়ে লাগেনি। তখন শুধুই রাজের দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। এরপর রাজ বলল আমার খিদে পেয়েছে। টেবিলে অনেক খাবার থাকার পর রাজ বলে, আমি ভাত খাব। তখন আমি জানতে চাইলাম কোনও আইটেম পছন্দ আছে কি না। রাজ জানায়, মুরগির তরকারি দিয়ে খাবে।’
পরী জানিয়েছেন তারপর থেকেই রাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দেখতে দেখতে একে ওপরের প্রেমে পড়ে যান শরিফুল রাজ ও পরীমণি। গত ২১ জানুয়ারি শরিফুল রাজ ও পরীমণির গায়েহলুদের অনুষ্ঠান হয়। পরদিন সম্পন্ন হয় তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান। তবে ঘরোয়াভাবে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর তারা বিয়ে করেছেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন তারকা দম্পতি। পরীর সঙ্গে প্রথম দেখার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রাজ জানিয়েছেন, ‘ডান হাত ভাঙা থাকার কারণে ভাত খাওয়ার সময় আমার হাত থেকে ভাত পড়ে যেত। এ বিষয়টা পরীমণি খেয়াল করে। এরপর যখনই ভাত খেতাম, পরী আমাকে নিজের হাত দিয়ে খাইয়ে দিত। এভাবেই পরীমণির প্রতি ভালোবাসা জন্মায়।’