নিজস্ব প্রতিনিধি: গতকাল গিয়েছে ঈদ (EID)। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী এখন শাসক দলের বিধায়কও বটে। সুতরাং তিনি একাধারে একাধিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি বেশ দাপটের সঙ্গে। তবে তিনি মাঝে মাঝেই নেটিজেনদের চর্চায় থাকেন। কিছুদিন আগেই রাজস্থানে ঘুরতে গিয়ে, আজমের শরিফে যাওয়ার সময় রাজ-শুভশ্রী মাথায় ফেট্টি এবং ঘোমটা দেওয়ার জন্যে নেটিজেনদের কটাক্ষের কোপে পরেছিলেন। নীতি পুলিশদের বক্তব্য ছিল, ব্রাহ্মণ ঘরের বউ হয়ে তিনি কেন মুসলমানদের মতন মাথায় ঘোমটা দেবেন। যদিও কোনোরকম কটাক্ষেই রাজ-শুভশ্রীর মাথাব্যাথা নেই। বর্তমানে রাজ চক্রবর্তী ব্যারাকপুরের (Barrackpore) বিধায়ক।
গতকাল তিনি ঈদ উপলক্ষ্যে ব্যারাকপুরের পাশাপাশি টিটাগড়ের একটি মসজিদে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি মাজারে মাথা ঠেকিয়ে দোয়া করেন। সেই ছবিই নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে নেটিজেনরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করে বসেন পরিচালক মশাইকে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, নিজের ধর্মকে অপমান করছেন রাজ, এই ধরনের একের পর এক তির্যক মন্তব্য ধেয়ে আসে রাজের দিকে। যদিও এই বিষয়ে ইউভানের বাবা কোনও প্রতিক্রিয়া করেন নি।
একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে রাজ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, তিনি কখনই কমেন্ট বক্স দেখেন না। তিনি একজনের কাছ থেকে এই বিতর্কের প্রসঙ্গ শুনেছেন। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি কিছুই ভাবেন না। তাঁর বক্তব্য, তিনি কি করবেন, কি পরবেন, সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার, তা নিয়ে কাউকে কৈফিয়ত দেবেন না তিনি। ট্রোলারদের কথার উত্তর দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করেন না তিনি। তিনি সব সময়েই গুরুদ্বারে গেলে মাথায় রুমাল বাঁধেন এবং মাজারে গেলে টুপি পরেন। গনতান্ত্রিক দেশে তাঁর পূর্ণ স্বাধীনতা আছে, তাই তিনি যা মনে করবেন তাই করবেন। এমনকী তিনি আরও যোগ করেন, আগামিদিনেও টুপি পরেই মসজিদে যাবেন তিনি। তাঁর কাছে মনুষ্যত্বই প্রধান ধর্ম। তাই যাঁরা কটুকথা বলছেন সেটা তাঁদের রুচিবোধের ব্যাপার, তাতে তিনি কোনও উত্তর দেবেন না এবং কৈফিয়তও দেবেন না।