নিজস্ব প্রতিনিধি: অভিনেতা সলমন খান সংবাদের শিরোনাম থেকে যেন কিছুতেই সরছেই না। একের পর এক কারণে তিনি সংবাদের শিরোনাম হচ্ছেন। মাস কয়েক আগেই সলমন তাঁর পানভেল ফার্মহাউসের প্রতিবেশী এনআরআই কেতন কক্করের বিরুদ্ধে বোম্বে হাইকোর্টে একটি আপিল দায়ের করেছিলেন। অভিনেতার দাবি, কেতন তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সামাজিক মিডিয়া পোস্ট করেছিলেন যা প্রকৃতপক্ষে মানহানিকর। মামলার সময়ে সলমন আভিযোগ করেছিলেন যে, কেতনের পোস্টগুলি ছিল অবমাননাকর। যা সাম্প্রদায়িক পক্ষপাতমূলক।
কিন্তু কেতনের বিরুদ্ধে আদালত কোনও শুনানি দিতে অস্বীকার করেছিলেন। সেই নিয়ে সলমন ফের মামলা দায়ের করেন। গত মার্চ মাসে, দায়রা আদালতে কেতনের বিরুদ্ধে সালমানের দায়ের করা মানহানির মামলায় কেতনের বিরুদ্ধে কোনও আদেশ দিতে অস্বীকার করেছিল। দায়রা আদালতের বিচারক এএইচ লাদ্দাদ গত ২৩শে মার্চ এই মামলার রায় ঘোষণা করে জানান যে, এই সম্বন্ধীয় বিস্তারিত আদেশ পরে জানানো হবে। রায়ে উল্লেখ করেছিলেন যে, কেতন একজন “হুইসেল-ব্লোয়ার”। কেতনের অভিযোগ ছিল, সলমন তাঁর পানভেলের ১০০ একর খামার বেদখল করে রেখেছিলেন, সেই বিষয়ক রেকর্ডও তাঁর কাছে রয়েছে। 1995 সালে কেতন এবং তাঁর স্ত্রী সালমানের খামারবাড়ির কাছে একটি বাড়ি, আশ্রম, মন্দির ইত্যাদি নির্মাণের জন্য একটি নির্দিষ্ট জমি ক্রয় করেছিলেন। কিন্তু কেতনের বরাদ্দকৃত জমির প্লটটি বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
কারণ কেতন বিদেশেই থাকেন। দেশে ফিরে কেতন আরও বলেছেন যে, তিনি একটি পরিবেশ বান্ধব গণেশ নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর মন্দির, প্রবেশাধিকারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আর সবটাই সলমন করেছিলেন। উল্টোদিকে সলমন কেতনের অভিযোগের ভিত্তিতে দাবি করেছেন যে, আসামীরা ধর্মের ভিত্তিতে উস্কানিমূলক, ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং হিন্দু-মুসলিম বিদ্বেষকে উস্কে দিচ্ছে, যা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক এবং অযৌক্তিক। আগামী ২২ শে আগস্ট বিচারপতি সিভি ভাদাং-এর বোম্বে হাইকোর্টের একক বিচারকের বেঞ্চে এই বিষয়টির উপর পুনরায় শুনানি হবে।