নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডের এভারগ্রিন জুটির তালিকায় প্রথমেই নাম যায় বলিউডের শেহনশাহ এবং তাঁর রানীর নাম। অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চন (AMITABH BACHCHAN & JAYA BACHCHAN) বলিউডের অন্যতম সুপারহিট জুটি। রিল এবং রিয়েল দুই মাধ্যমেই তাঁদের পোক্ত রসায়ন অনুপ্রাণিত করে তরুণ প্রজন্মের। আসলে বিনোদন জগতে খুব কম জুটি আছে যারা দীর্ঘ সময় সম্পর্কে রয়েছেন। বেশিরভাগ তারকারাই নিজেদের মনের মানুষকে খুঁজে নেন তাঁদের পেশার থেকেই। তবে বেশিদিন যেতে না যেতেই শোনা যায় তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটেছে। সেই নিয়েও মানুষের মাতামাতি, কটাক্ষ করার শেষ নেই। সেই দিক দিয়ে বিচার করে অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চনের বিবাহিত জীবন প্রায় ৫০ বছর হতে চলল। বলা চলে, তাঁরা ইন্ডাস্ট্রি থেকে আমজনতা সবার অনুপ্রেরণা। তাঁদের ভালোবাসা মাখা জীবন অনেক তরুণ প্রজন্ম কে অনুপ্রাণিত করে। তবে সেই সময় অমিতাভ কে কেন মনে ধরল জয়ার? বা অমিতাভও কেন জয়াকেই কেন মনে জায়গা দিলেন? সম্প্রতি জয়া বচ্চন প্রকাশ করেছেন যে, তাঁর স্বামী অমিতাভ বচ্চন চান না যে, তাঁর স্ত্রী বিয়ের পর নিয়মিত ‘৯-৫’ টা কাজ করবে। সম্প্রতি নাতনী নভ্যা নাভেলি নন্দার পডকাস্ট শো, হোয়াট দ্য হেল নভ্যা-তে উপস্থিত হয়ে, জয়া তাঁদের বিয়ের পিছনের গল্পও বর্ণনা করেছেন।
জয়া বচ্চন প্রকাশ করেছেন, অমিতাভ বচ্চন তাঁকে কীভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। নভ্যার প্রশ্নের উত্তরে জয়া উল্লেখ করেন, “আমি কলকাতায় শুটিং করছিলাম এবং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমাদের করা একটি সিনেমা যদি হিট হয়, তাহলে আমরা ছুটিতে যাব। কথামতো তাঁদের অভিনীত প্রথম ছবি জাঞ্জির দারুণ হিট হয়। আমি কলকাতায় একটি সিনেমার শুটিং করছিলাম এবং অমিতাভ (দাদা) ফোন করে বললেন, ‘একটি সমস্যা আছে’। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম অক্টোবরে বিয়ে করব কারণ ততদিনে আমার কাজ কমে যাবে। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘আমি অবশ্যই এমন স্ত্রী চাই না যিনি 9-5 ঘন্টা কাজ করবেন। কাজ করুন, তবে প্রতিদিন নয়। আপনি আপনার প্রকল্পগুলি বেছে নেবেন এবং, সঠিক লোকের সঙ্গে কাজ করবেন।’
জয়া বচ্চনও আরও বলেন, তাঁদের ছবিটি হিট হওয়ার পর তাঁদের ঘুরতে যাওয়ার কথা থাকলেও অমিতাভ তখন জয়াকে বলেছিলেন যে, তাঁর বাবা-মা তাঁকে বিয়ের আগে ছুটিতে যেতে দেবেন না, বলেছিলেন যদি একসঙ্গে ছুটিতে যেতে হয়, তাহলে তাঁদের অবশ্যই বিয়ে করতে হবে। আর ঘুরতে যাওয়ার জন্যে শেষমেশ তাঁরা অক্টোবর থেকে এগিয়ে এনে জুনেই বিবাহের প্রস্তুতি নেন। জয়া আরও বলেন, “অমিতাভের বাবা আমার বাবাকে ডেকেছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তবে আমার বাবা খুব খুশি ছিলেন না, আমার বাবা কখনই চাননি যে আমি বিয়ে করি। আমরা তিন বোন ছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তোমাকে এই পৃথিবীতে শুধু লেখাপড়া, বিয়ে এবং সেটেলড হতে এবং সন্তান ধারণের জন্য পৃথিবীতে আনিনি। আমি চাই তোমরা সবাই জীবনে কিছু একটা কর।’ তারপর অমিতাভের বাবা আমার বাবার সঙ্গে কথা বলেন, তখন বাবা রাজি হয়। তবে আমার বাবা জানিয়েছিলেন, আমরা বড় বিয়ে চাই না। আমার বাবা-মা বেঁচে আছেন, আমি চাই তাঁদের উপস্থিতিতেই বিয়ে হোক। এরপর মুম্বইতে আমার (জয়ার) ঠাকুর দাদার বাড়িতে বিয়ে হয় আমাদের। অক্টোবর থেকে আমাদের বিয়ে জুন এগিয়ে আনা হয়।”