নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ধর্ষকদের মানসিক বিকৃতি ঘৃণ্যতম। প্রায়শয় এমন কিছু ঘটনা শিরোনামে উঠে আসে যা ভয়ানক। ধর্ষকরা শুধু মানবদেহেই যৌনলিপ্ততার সুখ খুঁজে পায়না। পশুদের ওপরও তাঁদের বিকৃত যৌন লালসা মেটায়। তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে ব্রিটেনে। এক ব্রিটিশ প্রাণীবিদ প্রায় ৫০টিরও বেশি সারমেয় ধর্ষণ করেছেন। বহু সারমেয়কে ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে শিশু নিগ্রহের অভিযোগও রয়েছে।
ব্রিটিশ কুমির বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম রবার্ট কর্ডেন ব্রিটন(৫২) এই অপরাধ স্বীকার করেছেন। এই প্রখ্যাত প্রাণীবিদ প্রাণিবিদ্যায় পিএইচডি করেছেন এবং চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সোমবার নর্দার্ন টেরিটরি সুপ্রিম কোর্টে তিনি স্বীকার করেন মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত সারমেয়গুলিকে তিনি শারীরিক নির্যাতন করতেন। এই পাশবিক আচরণ চিত্রায়ন করতেন। টেলিগ্রামের এনক্রিপ্ট করা মেসেজিং পরিষেবায় “মনস্টার” এবং “সারবেরাস” নামে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই ভিডিও শেয়ার করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৬০টিরও বেশি অভিযোগ রয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে তিনি এই অপরাধ চালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। তিনি নিজের দুই পোষ্য সারমেয়কেও ধর্ষণ করেন। গ্রেফতারির ১৮ মাস আগে তিনি ৪২টি সারমেয়র মধ্যে ৩৯টির সঙ্গে অপব্যবহার করেন। ডারউইন এলাকায় বিক্রি করা হবে বা গবেষণার জন্য, উন্নত পরিচর্যার জন্য সারমেয় মালিকদের থেকে প্রাণীদের নিতেন। এই অপরাধবৃত্তি চালাতেন। প্রাণীগুলি সঠিকভাবে রয়েছে দেখাতে পুরোনো ছবি পাঠাতেন। একটি কক্ষে তিনি এই কর্ম চালাতেন, যা আদালতে ‘নির্যাতন কক্ষ’ বলে অভিহিত করেন অভিযুক্ত। তাঁর ল্যাপটপ তদন্ত করে শিশু নির্যাতনের বিষয়বস্তুর ১৫টি ফাইল প্রকাশ্যে আসে। যা তিনি অনলাইনে সংগ্রহ করেন। তাঁকে ২০২২ সালে গ্রেফতার করা হয়। ডিসেম্বরে তাঁর সাজা ঘোষণা হবে।