আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক অভাবনীয় ধর্মঘটের সাক্ষী ব্রিটেন।
কয়েক লক্ষ শিক্ষক, বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সরকারি কর্মী, ট্রেন চালক ধর্মঘটে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের এই কর্মসূচিতে ব্রিটেন স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখছে সরকার। ব্রিটেনের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের হিসেবে অনুযায়ী, ব্রিটেনের ইতিহাসে এই ধরনের ধর্মঘট এই প্রথম, যে কর্মসূচিতে সামিল হবেন পাঁচ লক্ষ মানুষ। তাদের এই এই কর্মসূচির কারণ সরকার কয়েকটি ক্ষেত্রে ধর্মঘট বেআইনি বলে ঘোষণা করেছে। সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই তাদের এই কর্মসূচি।
প্রস্তাবিত এই কর্মসূচির খবর দিতে গিয়ে ব্রিটেনের শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস-য়ের সাধারণ সম্পাদক পাওয়ালে নোওয়াক জানিয়েছেন, সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরতদের বেতন ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছাঁটাই করা হয়েছে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। বেতন হ্রাসের ফলে প্রত্যেকের জীবন ধারণ কঠিন হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় সরকার শ্রমিকদের কণ্ঠরোধ করতে নয়া শ্রম আইন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে আইনে বলা হয়েছে কয়েকটি ক্ষেত্রে কোনওভাবেই ধর্মঘট করা যাবে না। অথচ দেশের আর্থিক পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। জীবন ধারণের খরচ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার সে দিকে নজর দিচ্ছে না।
জানা গিয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে ধর্মঘটে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অশিক্ষক কর্মীরাও। ফলে, পঠন-পাঠন বন্ধ। সরকার স্কুল শিক্ষকদের বেতন ২ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। শিক্ষকদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতির কারণেই বেতনের এই সামান্য বৃদ্ধি।
আরও পড়ুন অ্যাম্বুল্যান্স ধর্মঘট ব্রিটেনে, স্তব্ধ চিকিৎসা পরিষেবা