নিজস্ব প্রতিনিধি: চোখের চিকিৎসা করাতে এখন মার্কিন মুলুকে পাড়ি দিয়েছেন বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের দলীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। ২৬ জুলাই কলকাতা থেকে দুবাই রওনা দেন তিনি। সেখান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে(USA)। এখন তিনি রয়েছেন নিউ ইয়র্কে। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তাঁর চোখে একটি অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। ঠিক তার আগে এদিন অর্থার সোমবার তিনি একটি ট্যুইট করেছেন। আর সেই ট্যুইটেই তীব্র কটাক্ষ হেনেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থান Enforcement Branch বা ED-কে। সেই সঙ্গে কটাক্ষ হেনেছেন বঙ্গ বিজেপির(BJP) নেতাদের পাশাপাশি মিডিয়ার(Media) একাংশকেও।
আরও পড়ুন স্টেশনের আধুনিকীকরণে ভোট আসবে কী, প্রশ্ন বিজেপিরই অন্দরে
এদিন অভিষেক তাঁর ট্যুইটে লেখেন, ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটে এত অকর্মণ্য সব লোক বসে আছে যে দেখে করুণা হচ্ছে। সপ্তাহে দু’বার আমার বিরুদ্ধে গল্প সাজানো ছাড়া ওদের আর কোনও কাজ নেই। আর এ সব করছে শুধু ওদের রাজনৈতিক প্রভুকে খুশি করার জন্য। জনগণের টাকায় ওরা বছরের পর বছর তদন্ত করে যাচ্ছে। অথচ কোনও তথ্য প্রমাণই আদালতে পেশ করতে পারেনি। ইডি বা সংবাদমাধ্যম কিংবা বাংলার বিজেপি নেতাদের আমার বিরুদ্ধে পরিষ্কার করে কোনও অভিযোগ তোলার সাহস বা আত্মবিশ্বাসই নেই। এই সব হতভাগ্য আত্মাদের প্রতি করুণা করা ছাড়া আর কী করতে পারি!’ উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে অভিষেকে নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় দু’বার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টেও অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে ED-কে। অভিষেকের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি নিয়ে কৈফিয়ত চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত ইডিকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে লুক আউট নোটিস প্রত্যাহার করে নিতে হবে। তার পর আবার কলকাতা হাইকোর্টে ED-কে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেছেন, স্রেফ অনুমানের ভিত্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কীভাবে মামলা করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি!
আরও পড়ুন নবগ্রামের পরে বহরমপুর, যুবকের মৃত্যুতে কাঠগড়ায় পুলিশ
এরই পাশাপাশি বাংলার এক প্রথম শ্রেনীর মিডিয়া হাউস থেকে বার বার খবর সম্প্রসারিত হচ্ছিল এবং দাবি করা হচ্ছিল যে ED’র হাতে গ্রেফতার হওয়া ‘কালিঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র নাকি স্বীকার করেছেন নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় তাঁর সঙ্গে নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে। তিনি নাকি তাঁর কাছে টাকা পৌঁছে দিয়েছেন। এমনকি ওই সংবাদমাধ্যম থেকে এটাও দাবি করা হয়, নিয়োগ দুর্নীতি ও সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে ED আদালতে যে চার্জশিট দিয়েছে সেখানে নাকি অভিষেকের নাম রয়েছে। যদিও পরে সেই সংবাদমাধ্যমই দাবি করে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র যে অভিষেকের কথা বলেছেন তাঁর পদবি বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, ভট্টাচার্য। এমনকি ED’র চার্জশিটেও নাকি অভিষেক ভট্টাচার্যের নাম রয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়। এই নিয়ে মাত্র ১ বার ক্ষমা চেয়েছে ওই স্বনামধন্য সাংবাদমাধ্যম। অভিষেকের নাম করে কার্যত ধারাবাহিক ভাবে তাঁরা অপপ্রচার চালিয়ে গিয়েছে দিনের পর দিন, অথচ ক্ষমা চেয়েছে মাত্র ১বার। তাতেই সব দোষ মাফ! এদিন অভিষেক কার্যত সেই ঘটনাকে উহ্য রেখেই ওই ধরনের মিডিয়া হাউসকে নিয়ে তীব্র কটাক্ষ হানলেন।