নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি(Primary School Teachers Recruitment Scam) মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে Enforcement Directorate বা ED’র দায়ের করা FIR খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে সোমবার। কিন্তু বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলার রায়দান স্থগিত রাখেন। পরে রাতের দিকে অবশ্য জানানো হয় আগামী ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় দেওয়া হবে। ঘটনাচক্রে সেইদিনই আবার উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। কলকাতা হাইকোর্টের রায় নির্বাচনে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে যদি তা ভোটগ্রহণ চলাকালীন সময়ে দেওয়া হয়। তাই সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেকের আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হবে যাতে সেই রায় ভোটগ্রহণ শেষ হলে তারপর যেন দেওয়া হয়। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে রায়দানের জন্য যেন নতুন কোনও দিন ঠিক করা হয়।
আরও পড়ুন ‘NRC করতে দিইনি, করতেও দেব না’, সংখ্যালঘুদের আশ্বাস মমতার
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের যুব সংগঠনের নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর চিঠিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম থাকায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তৃণমূলের শীর্ষস্তরের এই নেতাকেও নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় যুক্ত করা হয়। মূলত ED’র দায়ের করা FIR খারিজের দাবিতেই ED’র বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। আপাতত সেই মামলা চলছে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গেল বেঞ্চে। গত বৃহস্পতিবার এই মামলায় কালীঘাটের কাকু তথা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ED দাবি করে, ‘এখনই কাউকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখা সম্ভব নয়। সুজয় ভদ্রর গ্রেফতারির পর জানা গিয়েছে, তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সেই কারণ দেখিয়ে এখনই কাউকে সন্দেহের বাইরে রাখা যাচ্ছে না।’ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও অপরাধের প্রমাণ নেই। এর আগে আদালতের দুটি রায় থেকেই তা স্পষ্ট।
আরও পড়ুন ইমাম, মোয়াজ্জেম, পুরোহিতদের ভাতা বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী
গতকাল এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি পর্ব শেষ হয়েছে। কিন্তু গতকালই এই মামলার রায় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেন বিচারপতি। কার্যত রায়দান স্থগিত রাখেন তিনি। পরে রাতের দিকে জানানো হয় আগামী ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় দেওয়া হবে। কিন্তু সেদিন উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সেই বিষয়টি এখন অভিষেকের আইনজীবীর তরফে নতুন করে আদালতের সামনে আনা হবে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। মামলার রায়দানের জন্য অন্য কোনও দিন ঠিক করার আর্জি জানানো হবে বলেই জানা গিয়েছে।